সারা দেশে তিন কোটি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী মুসলমান রয়েছে। এ রাজ্যে এক কোটি আছে। যারা রাষ্ট্রবিরোধী, দেশবিরোধী কাজে যুক্ত। এঁদেরকে ভোটার বানানো হয়েছে। বিশেষ দলকে ভোট দিচ্ছে এঁরা। এদের সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী ওদের স্বার্থে রাস্তায় নেমেছেন। শুক্রবার ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে সিএএ কর্মশালায় এমনটাই বললেন দিলীপ ঘোষ। বঙ্গ বিজেপির সভাপতির কথায়, বিশ্বের দরবারে প্রধানমন্ত্রী মোদী যে ইমেজ তৈরি করেছিলেন তা বিরোধীদের সিএএ নিয়ে প্রচারে ড্যামেজ হচ্ছে।
এদিন সকাল থেকে ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে বিজেপির কলকাতা ও শহরতলির কিছু সাংগঠনিক জেলাকে নিয়ে সিএএ কর্মশালা শুরু হয়েছে। সেখানে সিএএ নিয়ে প্রচারের আগে কর্মীদের পাঠ দেন দিলীপ ঘোষ। সিএএ নিয়ে মানুষকে কী বলা হবে, কেন বলা হবে, কর্মীদের তা বুঝিয়ে দেন দিলীপ ঘোষ-সহ বিজেপি নেতৃত্ব। তিনি এদিন আরও বলেন, উদ্বাস্তুদের এদেশে ভোটার করা হয়েছে কিন্তু নাগরিক করা হয়নি। এখন তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হল। মোদী সেই কাজটা করলেন।
প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ। সিএএ নিয়ে দেশজুড়ে যে প্রচার, আলোড়ন তা কলকাতা পুরভোটে পড়বে, এ এটা মেনে নিয়েই দিলীপ ঘোষের দাবি, ‘এতে তৃণমূলের কোনও লাভ হবে না। মানুষ ওদের উচিত শিক্ষা দেবে। পুরোপুরি অনৈতিক ভাবে, পুলিশ দিয়ে, গায়ের জোরে পুরসভা দখলের চেষ্টা হচ্ছে। আমাদের পার্টি কোর্টে গিয়েছে। কোর্ট সময়ে বিচার করবে। অপেক্ষা করা উচিত।’ আর ভাটপাড়া নিয়ে দিলীপের মন্তব্য, ‘যারা ক্ষমতার জন্য অতি আতুর হয়ে উঠেছেন তাদের সাবধান হওয়া উচিত।’