বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘ লড়াইয়ের ফসল কল্যাণী এইমস (অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স)। মমতা বরাবর চেয়েছিলেন বাংলার একমাত্র এইমস হোক কল্যাণীতেই। তাই বহু প্রতিকূলতা পার করে শেষমেষ ২০১৬ সালে সিদ্ধান্ত হয় কল্যাণীতে গড়ে উঠবে এইমস। এইমস–এর জন্য জমি দেয় রাজ্য সরকার। কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে। এইমস গড়ে তোলার কাজ শুরু হওয়ার সঙ্গেই রাজ্য সরকার শুরু করে এইমস–এর আশপাশ অঞ্চলের পরিকাঠামোর উন্নয়ন। কল্যাণীর যে রাস্তা এইমসের কাছ থেকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে মিশেছে, সেই সংযোগকারী রাস্তা ডবল লেনের করার কাজ শেষের পথে। সব মিলিয়ে এখন এইমস–এর নতুন চত্বরে এখন চরম ব্যস্ততা। ইতিমধ্যেই এইমসের পঠনপাঠনও শুরু হয়ে গেছে।
ইতিমধ্যে এইমস–এ এমবিবিএস প্রথম বর্ষের জন্য ৫০ জন ছাত্রছাত্রীর ক্লাস শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে এইমস–এর দায়িত্ব প্রাপ্ত ডেপুটি ডিরেক্টর কর্নেল শ্রীকৃষ্ণ বলেন, ‘প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা ক্লাস করছেন কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজে। আমাদের নিজস্ব ভবন তৈরির কাজ দ্রুত এগোচ্ছে। ক্লাসরুম ও ছাত্রছাত্রীদের জন্য হস্টেল তৈরির কাজ শেষ। আমরা চাইছি ইংরেজি নতুন বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে এইমস–এর আউটডোর চালু করতে। এমবিবিএস–এর প্রথম বর্ষের মতো এই শিক্ষাবর্ষেও ছাত্রছাত্রী ভর্তি হবেন।’
এমনিতে কল্যাণীর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ল্যাবরেটরি খুবই উন্নত। ছাত্র ভর্তির সঙ্গে সঙ্গে ২২ জন শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। যাঁদের মধ্যে ১৯ জন ইতিমধ্য ক্লাস নেওয়া শুরু করেছেন। এখন যে ৪টি বিষয়ে পড়ানো হচ্ছে তা হল অ্যানাটমি, বায়োকেমিস্ট্রি, ফিজিওলজি ও কমিউনিটি অ্যান্ড হেলথ মেডিসিন।