ভারতের অর্থনীতি এখন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। সে কথা বারবার উঠে এসেছে একাধিক অর্থনীতিবিদের কথায়। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে দেখা গিয়েছে বারবার নানা সংস্কারমূলক পদক্ষেপ করতে। তাতেও জিডিপি বাড়েনি। প্রতিটি শিল্পক্ষেত্রে মন্দা একেবারে স্পষ্ট। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারও এই দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে সতর্কতা জানিয়েছে। কিন্তু নতুন বছরে অর্থাৎ ২০২০ সালে ৫ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধি করতে ভারতকে অনেক কাঠখড় করতে হবে বলে জানালেন আমেরিকার অর্থনীতিবিদ স্টিভ হ্যাঙ্কি।
আর এই কথা প্রকাশ্যে আসতেই চাপে পড়ে গেল নরেন্দ্র মোদীর সরকার বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ একদিকে দেশের ভেতরেই আগুন জ্বলছে। যা কখন, কীভাবে নিভবে কেউ জানে না। সেখানে অর্থনীতির দিকে তাকালে শিল্পে মন্দা, শেয়ারবাজারে ধস, সেনসেক্সে পতন এবং নিফটির সূচক তলানিতে লক্ষ্যণীয়। এই পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে আমেরিকার অর্থনীতিবিদ স্টিভ হ্যাঙ্কি বলেন, ‘ভারতের অর্থনীতি নিম্নগামী হওয়ার মূল কারণ হল, ধার বেড়ে যাওয়া। এটা একটা ক্লিনিক্যাল সমস্যা। এটা পরিকাঠামোগত সমস্যা নয়। যার ফলে ২০২০ সালে ৫ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধি করতে সংগ্রাম করতে হবে ভারতকে।’
এই অর্থনীতিবিদ আরও জানান, মোদী সরকার বড় কোনও অর্থনৈতিক সংস্কার করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘মোদী সরকার দুটি বিষয়ের ওপর নজর দিয়েছে। এক, স্থিতিশীল ক্ষেত্রকে অস্থিতিশীল করা এবং সম্ভাবনাকে কাজে না লাগানো। দুই, জাত ও ধর্ম নিয়ে পড়ে থাকা। বিষয়টি ইমেল মারফৎ প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও উত্তর আসেনি।’