দ্বন্দ্ব-সংঘাত, চিঠি চালাচালি, টুইটযুদ্ধ হয়েছে বিস্তর। এবার সেসব সরিয়ে রেখে বছরের শেষদিনে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনায় বসলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দুপুরে রাজভবনে গিয়েছেন তিনি। রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থায় রাজনীতির প্রবেশ নিয়ে এর আগে আপত্তি জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল। এ নিয়ে আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন জগদীপ ধনকর। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে জানিয়েছিলেন যে শিক্ষামন্ত্রীই এই আলোচনার জন্য যথাযথ। সেইমতো মঙ্গলবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সঙ্গে শিক্ষা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
রাজ্যের শিক্ষা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে প্রশাসনের সংঘাত তৈরি হয়েছিল। সম্প্রতি সমাবর্তন ঘিরে নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। তারও আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য জগদীপ ধনকরের প্রবেশ নিয়েও একপ্রস্থ ঝঞ্ঝাট হয়েছিল। এসবের পর চূড়ান্ত অপমানিত বোধ করেন রাজ্যপাল। টুইটারে নিজের অনুভূতিও প্রকাশ করেন। তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে প্রত্যাখ্যাত হয়ে তাঁকে ফিরতে হওয়ার পরই কার্যত এর বিহিত চেয়ে ধনকর চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ২৫ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর সুবিধামতো সময়ে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করতে চান। মুখ্যমন্ত্রী একদিনের মধ্যে তাঁকে জবাব দিয়ে জানান, বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।
এরপর শিক্ষামন্ত্রী নিজে চিঠি লিখে ধনকরকে জানান, শিক্ষা দপ্তর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কাজে খুব একটা হস্তক্ষেপ করতে পারে না। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। রবিবার রাজ্যপালকে ট্যাগ করে সেই চিঠি টুইটারে প্রকাশ করে দেন শিক্ষামন্ত্রী। পালটা জবাব দেন আচার্য জগদীপ ধনকরও। এ নিয়ে রাজ্যপাল-শিক্ষামন্ত্রীর টুইটযুদ্ধও বেশ জমে ওঠে। তবে এসব জট কাটিয়ে শেষপর্যন্ত রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।