আগামী ৫ বছরের মধ্যে ভারতের অর্থনীতিকে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার বুলি আউড়িয়ে দেশবাসীকে যে স্বপ্নের ফানুসে চড়িয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, এক বছর পেরনোর আগেই তা ফুটো হয়ে গিয়েছে। দেশে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধির হার নেমে গিয়েছে ৪.৫ শতাংশে। যা গত ৬ বছরে সর্বনিম্ন। এর পাশাপাশি এ বছর আগস্ট থেকে ঢিমে তালে ছুটছে আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতের পেট্রোপণ্য, ইঞ্জিনিয়ারিং, গয়না রপ্তানির চাকা। দেশের শ্রম নিবিড় যে সমস্ত শিল্প ক্ষেত্র রপ্তানির ওপর অনেকটাই নির্ভর করে, সেগুলির বৃদ্ধিও নানা কারণে ধাক্কা খেয়ে কার্যত নিম্নমুখী। এর মধ্যে রয়েছে কার্পেট, তৈরি পোশাক, হ্যান্ডলুম, চর্মপণ্য।
এই পরিস্থিতিতে রপ্তানি সংস্থাগুলির সংগঠন ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশন্স (ফিয়ো) সোমবার জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তার বাতাবরণ এবং বাণিজ্যে রক্ষণশীলতা বৃদ্ধির কারণে চলতি অর্থবর্ষে দেশের রপ্তানি ব্যবসা ৩৩,০০০ থেকে ৩৪,০০০ কোটি ডলারে আটকে থাকতে পারে। এ বছর এপ্রিল-নভেম্বরে ভারতের রপ্তানি ইতিমধ্যেই ২ শতাংশ কমেছে। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই বাণিজ্য সচিব অনুপ ওয়াধওয়ান জানিয়ে ছিলেন, দেশের রপ্তানি ক্ষেত্রে শ্লথ গতির প্রধান কারণই হচ্ছে বিশ্ব বাজারে পেট্রোপণ্যের চাহিদা কমে যাওয়া। যা দেশের মোট রপ্তানির ১৩.৪২ শতাংশ দখল করে রয়েছে। পেট্রোপণ্যের দাম পড়ে যাওয়াই রপ্তানির অঙ্ককে নীচে নামিয়ে এনেছে বলেই দাবি করেছিলেন তিনি।