চোট সমস্যার জেরে ঘোর অনিশ্চয়তায় ঢেকেছে ভুবনেশ্বর কুমারের ক্রিকেট ভবিষ্যৎ। ভারতের তারকা পেসারটি নিজেই এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ভুবি জানিয়েছেন, চোট সারিয়ে ফের কবে টিম ইন্ডিয়ার জার্সি গায়ে চাপাবেন, তা তিনি জানেন না। তাঁর চোটের পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা নিয়েও ঘোরতর সংশয় দেখা দিয়েছে।
বছরের মাঝে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পরে পাঁজরের চোটের জন্য ক্রিকেট থেকে দূরে সরে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন ভুবনেশ্বর। এর পরে কিছু দিন আগে সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দেশের মাঠে প্রত্যাবর্তন ঘটে তাঁর। কিন্তু আবার ছিটকে যেতে হয় ‘স্পোটর্স হার্নিয়া’য় আক্রান্ত হয়ে। পরের বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে কী ভাবছেন এই পেসার? ভুবির জবাব, ‘‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এখনও ন’মাস দূরে। ওই নিয়ে আমি ভাবছি না। আমার প্রথম লক্ষ্য সুস্থ হয়ে ওঠা। কিন্তু নিজেই জানি না কবে সুস্থ হয়ে উঠতে পারব।’’
পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, ভুবনেশ্বর কুমার বেশ কিছুদিন ধরেই ‘স্পোর্টস হার্নিয়া’য় ভুগছেন। অথচ এনসিএ’র চিকিৎসকরা তা ধরতে পারেননি। এক সাক্ষাৎকারে ভুবি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এখনও ৯ মাস বাকি। তাই এখনই আমি ওই আসর নিয়ে ভাবছি না। আমার প্রথম লক্ষ্য সুস্থ হয়ে ওঠা। সেটাই আপাতত বড় চ্যালেঞ্জ। কাজটা বেশ কঠিন। কারণ পুরো বিষয়টা আমার হাতে নেই। আমি শুধু চেষ্টা করতে পারি। তাই জানি না, কখন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে পারব। বিষয়টি বিসিসিআই বিষয়টি কীভাবে নেবে, সেটা তাদের ব্যাপার।’ নিজের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য অবশ্য এনসিএ’কে সরাসরি দায়ী করতে চাননি তিনি। ভুবি বলছেন, ‘এনসিএ হয়তো যথেষ্ট চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না, চোটটা কেন আরও আগে ধরা পড়ল না। তবে এ বিষয়ে এখনই আমার বেশি কিছু মন্তব্য করাটা ঠিক নয়।’’
নিজের অবস্থা নিয়ে ভুবনেশ্বর জানিয়েছেন, তিনি এখন চিকিৎসকের সঙ্গে পরমর্শ করার জন্য অপেক্ষা করছেন। ভুবির মন্তব্য, ‘‘আমার অস্ত্রোপচার হবে কি না, তা নিয়ে নিশ্চিত নই। যদিও স্পোর্টস হার্নিয়ার ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারই হয়ে থাকে সাধারণত। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে হবে। আমি জানি না, কোথায় বা কবে সেটা হবে। তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যবস্থা করতে চাইছি। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা না বলে মাঠে ফেরার ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে পারব না। পুরোটাই নির্ভর করবে কী ভাবে চিকিৎসা এগোবে।’’
এই ভাবে বারবার ছিটকে যাওয়াটা কতটা ধাক্কার? ভুবনেশ্বর বলেছেন, ‘‘চোট-আঘাত পেলে হতাশা আসে ঠিকই, কিন্তু আমি ভেঙে পড়িনি। আমাদের জীবনে চোট-আঘাত লেগেই থাকে।’’ ভুবি এও বলেন, ‘‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে আমি ভাল ছন্দে ছিলাম। মাঠে ফেরার পরে সেই ছন্দটা ধরে রাখতে চাই। তবে সব কিছুই নির্ভর করবে চিকিৎসক কী বলেন, তার উপরে।’’