দায়িত্ব নেওয়ার ১ মাসেরও বেশি সময় পর আজ নিজের মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। আজ তাঁর ক্যাবিনেটে শপথ নিতে পারেন মোট ৩৬ মন্ত্রী। কিন্তু তার থেকেও বড় খবর হল রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন অজিত পাওয়ার। মন্ত্রী করা হতে পারে আদিত্য পাওয়ার ও এনসিপির নবাব মালিককে।
একসময় রাতের অন্ধকারে পালিয়ে গিয়ে ঘাঁটি গেঁড়েছিলেন পদ্ম শিবিরে। কিন্তু তার পর হাওয়া পাল্টাতেই আবার ঘরে ফিরে এসেছেন। সোমবার ফের জোট সরকারে মন্ত্রীর পদে শপথও নিলেন। দায়িত্ব পাচ্ছেন উপমুখ্যমন্ত্রীর। এক মাসের ব্যবধানে একই রাজ্যে দুই দলের হয়ে সরকারে মন্ত্রীর শপথ। দু’বারই উপমুখ্যমন্ত্রী। এমন বিরল ‘কৃতিত্ব’ ভারতবর্ষের আর কোনও নেতার আছে কি না, খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তিনি অজিত পাওয়ার। এনসিপি নেতা। দলের সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের ভাইপো।
সরকার গঠন ঘিরে যখন মহারাষ্ট্রে টানাপোড়েন চলছিল, এবং শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোটের সরকার গঠনের তোড়জোড় চলছিল, তখন জল্পনা তৈরি হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন উদ্ধবপুত্র। রাজভবনে যাওয়া থেকে শুরু করে শিবসেনা বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনা পর্বেও গুরুত্ব বাড়ছিল আদিত্যর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিন দলের নেতা হিসেবে উদ্ধব মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন। এ বার আদিত্যকেও মন্ত্রিসভায় আনলেন উদ্ধব। তবে তাঁকে কোন মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি বলেই সেনা সূত্রে খবর।
এর বাইরে তিন দলেরই এক ঝাঁক মন্ত্রী আজ বিধানসভায় শপথ নিয়েছেন। মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ২৮৮ আসন। নিয়ম অনুযায়ী মোট বিধায়ক সংখ্যার ১৫ শতাংশ হিসেবে ৪৩ জনের বেশি মন্ত্রিসভা হতে পারে না। গত ২৮ নভেম্বর উদ্ধব ঠাকরে-সহ মোট সাত জন শপথ নিয়েছিলেন। আজ বাকিদের শপথগ্রহণ হবে।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শপথ নিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চহ্বাণ, কে সি পাডভি, বিজয় ওয়াডেত্তিওয়ার, অমিত দেশমুখ, সুনীল কাডকার, যশোমতি ঠাকুর, বর্ষা গায়কোয়াড়, আসলাম শেখ, সতেজ পাতিল এবং বিশ্বজিৎ কদমের মতো বিধায়করা। অশোক চহ্বণ পেতে পারেন পূর্ত দফতরের দায়িত্ব।