আজ কংগ্রেসের ১৩৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস। সেই উপলক্ষ্যে উত্তরপ্রদেশ গিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। আর সেখানে গিয়েই লখনউয়ের রাস্তায় যোগী আদিত্যনাথের পুলিশের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়ালেন তিনি। এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি অভিযোগ করলেন, সিএএ নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়ে ধৃত প্রাক্তন আইপিএস অফিসারের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময়ে পুলিশ আজ শুধু আটকায়নি, তাঁর গলা টিপে ধরেছিলেন মহিলা পুলিশের এক কনস্টেবল। তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ারও অভিযোগ এনেছেন রাজীব তনয়া।
জানা গেছে, কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে লখনউয়ে গিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। তাঁর সফরে দিনভর নাটকীয় ঘটনাবলীর সাক্ষী থেকেছে উত্তরপ্রদেশের রাজধানী। সকালে কংগ্রেসের অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার বেড়া ভেঙে মঞ্চের উপরে প্রিয়াঙ্কার কাছে পৌঁছে যান অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি। নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করলে প্রিয়াঙ্কাই তাঁদের থামান। পাগড়ি পরা ব্যক্তিটিকে সামনে ডেকে নেন। কিছুক্ষণ তাঁর কথাও শোনেন । পরে তাঁর নামে স্লোগান দিতে দিতে মঞ্চ ছাড়েন ওই ব্যক্তি। যদিও এই ঘটনাটিকে প্রিয়াঙ্কার নিরাপত্তার গাফিলতি হিসেবেই তুলে ধরেছে কংগ্রেস।
তবে আসল নাটক অপেক্ষা করে ছিল বিকেলে। সিএএ নিয়ে বিক্ষোভের সময়ে ধৃত প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এসআর দারাপুরী ও দলের নেত্রী সাদাফ জাফরের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে রওনা হন প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু ইন্দিরা নগরে পৌঁছনোর আগেই যোগীর পুলিশ আটকায় তাঁকে। প্রিয়াঙ্কার দাবি, তিনি কোথায় যাচ্ছেন, তা জানতই না পুলিশ। তা সত্ত্বেও তাঁর গাড়ি আটকানো হয়। এর পরে রাস্তায় হাঁটতে শুরু করেন তিনি। আচমকাই দলের এক কর্মীর স্কুটারের পিছনে বসে পড়েন প্রিয়ঙ্কা। পুলিশ পিছনে দৌঁড়তে থাকে। তাঁকে থামাতে হিমশিম খেয়ে যায় পুলিশ।
শেষ পর্যন্ত আটকানো হয় স্কুটারটিও। দ্রুত হাঁটতে শুরু করেন প্রিয়াঙ্কা। আটকানোর চেষ্টা করেন মহিলা পুলিশের কয়েক জন কর্মী। ধাক্কাধাক্কির পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। তখনও পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যেতে সফল হন প্রিয়াঙ্কা। পরে তাঁর অভিযোগ, তাঁকে হেনস্থা করেছে পুলিশ। প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘মহিলা পুলিশের এক কনস্টেবল আমার গলা টিপে ধরে আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন। এমন ভাবে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে যে পড়ে গিয়েছিলাম।’
এরপর বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেছেন প্রিয়ঙ্কা। তাঁর কথায়, ‘কেন্দ্রে এখন সরকারে রয়েছেন যাঁরা, ঐতিহাসিকভাবে তাঁদের সঙ্গে আমাদের আদর্শগত লড়াই রয়েছে। আমরা এখন সেই আদর্শের বিরুদ্ধে লড়ছি, স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়েও কংগ্রেসকে যার বিরুদ্ধে লড়তে হয়েছে।’ প্রিয়ঙ্কার মন্তব্য, ‘দেশের এই সঙ্কটে গলা না তুললে ভীতু প্রমাণিত হব। তাই এঁদের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতেই হবে।’