তলানিতে ঠেকেছে দেশের অর্থনীতি৷ গতি কমেছে দেশের জাতীয় বৃদ্ধির সূচকেও৷ কমেছে দেশের জনতার ক্রয় ক্ষমতা৷ আর এই পরিস্থিতিতে সরাসরি প্রভাব পড়েছে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায়৷ ব্যাঙ্কে আমানত সঞ্চয়ে লেগেছে মন্দা৷ আর তার জেরে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় ঘনিয়ে এসেছে দুর্যোগের মেঘ৷ ব্যাঙ্কগুলি তাদের খরচ কমাতে চুপিসারে চার বছর ধরে ধাপে ধাপে কর্মী ছাঁটাই পর্ব শুরু করে দিয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে৷
জানা গিয়েছে, চলতি বছরে একাধিক ব্যাঙ্ক কমপক্ষে ৭৭ হাজার ৭৮০ জন কর্মীকে ছেঁটেছে৷ ২০১৫ সালে কর্মী ছাঁটাইয়ের সংখ্যা ছিল কমপক্ষে ৯১ হাজার ৪৪৮ জন৷ গত এক বছরে কর্মী ছাঁটাইয়ের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি৷
গোটা বিশ্বজুড়ে চলতি বছরে ব্যাঙ্কে কর্মী ছাঁটাই হয়েছে মোট ৪২৫,০০০৷ অনেক ব্যাঙ্ক তাদের পরিকল্পনা প্রকাশ না করেই কর্মীদের অপসারণ করেছে বলেও উঠে এসেছে ওই রিপোর্টে৷ দেশে গত ৪ বছরে ব্যাঙ্কে কর্মী সংখ্যা প্রায় ২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে৷
ইউরোপীয় ব্যাঙ্কগুলিও দুর্বল হয়ে পড়েছে৷ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মন্দার কারণে মুনাফা কমেছে ইউরোপীয় ব্যাঙ্কগুলিরও৷ বিশ্ব মন্দা অর্থনীতির প্রভাব পড়েছে ভারতেও৷ সুদের হার কমিয়েও সেই ক্ষতি এখনও পূরণ করে উঠতে পারনি ব্যাঙ্কগুলি৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে৷ ইউরোপের ব্যাংকগুলি বিশ্ব মন্দার সঙ্গে লড়াই করছে৷ একই ভাবে ধুঁকছে ভারতীয় একাধিক ব্যাঙ্ক৷ খরচ কমাতে কর্মী ছাঁটাই করে ক্ষতি পূরণের লক্ষ্যমাত্র নিয়েছে একাধিক সংস্থা৷ ডয়চে ব্যাংক সাফ ঘোষণা করেছে, ২০২২ সালের মধ্যে ১৮ হাজার কর্মীকে তারা ছাঁটাই করবে৷ কিন্তু, ভারতীয় ব্যাংকগুলি প্রকাশ্যে তা ঘোষণা না করলেও তলেতলে চলছে ছাঁটাই পর্ব৷