চোট পাওয়ার পর রিহ্যাব করা সব ক্রিকেটারদের জন্য বাধ্যতামূলক করলেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি। রিহ্যাবের জন্য তাঁদের জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে (এনসিএ) যেতেই হবে ক্রিকেটারদের। ঘোষণা করলেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট। জশপ্রীত বুমরাকে নিয়ে বিতর্কের পর বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রধান রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে বৈঠক করেন সৌরভ। তারপরই ঘোষণা করেন, ক্রিকেটারদের রিহ্যাবের জন্য এনসিএ-তে যেতেই হবে। চোট পাওয়ার পর ফিটনেস টেস্টের জন্যও এনসিএতে যাওয়া বাধ্যতামূলক।
সম্প্রতি জশপ্রীত বুমরার চোট পাওয়া নিয়ে বড়সড় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটে। বিসিসিআইয়ের নিয়ম অনুযায়ী, বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ কোনও ক্রিকেটার চোট পেলে তাঁকে ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে গিয়ে রিহ্যাব করতে হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁকে ফিট ঘোষণা করলেই তিনি ফের জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পান।
জশপ্রীত বুমরা এই নিয়মটি মানেননি। চোট পাওয়ার পর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির চিকিৎসকদের উপর ভরসা রাখতে পারেননি ভারতের এক নম্বর পেসার। তিনি আলাদাভাবে এনসিএ-র বাইরে অন্য ফিজিও-র সাহায্যে রিহ্যাব করেন। যা খোলামনে মেনে নিতে পারেননি এনসিএ-র ডিরেক্টর রাহুল দ্রাবিড়। ভারতীয় দলের নেটে সাবলীলভাবে বল করা সত্ত্বেও বুমরাকে ফিট সার্টিফিকেট দিতে রাজি হননি দ্রাবিড়।
এরপরই শুরু হয় যাবতীয় বিতর্ক। একে অপরের দিকে অভিযোগ করা শুরু করেন দ্রাবিড় এবং বুমরা। আসরে নামতে বাধ্য হন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ। তাঁর হস্তক্ষেপেই শেষপর্যন্ত ঝামেলা মেটে। বুমরাহকেও জাতীয় দলে নেওয়া হয়। এরপরই দ্রাবিড়ের সঙ্গে বৈঠক করেন সৌরভ। শুক্রবার তিনি ঘোষণা করেছেন, চোট পাওয়ার পর রিহ্যাবের জন্য প্রত্যেক ক্রিকেটারকে ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে থাকতে হবে। যদি, কোনও ক্রিকেটার আলাদাভাবে নিজের ফিজিও আনতে চান, তাঁকে অনুমতি দেওয়া হবে। তাঁর যাবতীয় ব্যবস্থা করা হবে বিসিসিআইয়ের তরফেই।