বাংলার ২৮৯ রানের জবাবে ঈশান পোড়েল, মুকেশ কুমার, বি অমিত ও আকাশ দীপের দাপটে তৃতীয় দিনের শেষে অন্ধ্রপ্রদেশের রান ১১০-৭। ফলো-অন থেকে বাঁচতে এখনও ৩০ রান দূরে রয়েছে হনুমা বিহারীর দল। প্রথম দিন কাঁধের হাড় সরে যাওয়ায় ব্যাট করবেন না মণীষ গোলামারু। তাঁর পরিবর্ত হিসেবে ব্যাট করছেন বি আয়াপ্পা (অপরাজিত ৫)।
শুক্রবারই বিপক্ষকে ফলো-অন করিয়ে দেওয়া যেত। ৪০তম ওভারে বি অমিতের বলে ওপেনার জ্ঞানেশরের ক্যাচ গিয়েছিল অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরনের হাতে। টিভি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে নো-বল হওয়ায় তিনি এখনও অপরাজিত। ৪৫ রানে ক্রিজ কামড়ে পড়ে রয়েছেন তিনি।
আউটফিল্ড ভিজে থাকায় ম্যাচ শুরু হয় দেরিতে। তবে অনুকূল আবহাওয়ার ফায়দা নিয়ে প্রশান্ত কুমারকে (০) ফিরিয়ে বাংলাকে প্রথম সাফল্যটি এনে দেন মুকেশ। লাঞ্চের পর ঈশানের গতির সামনে কার্যত আত্মসমর্পণ করেন হনুমা বিহারি (২৩) ও রিকি ভুঁই (০)। হ্যাটট্রিকের সুযোগও এসেছিল ‘চন্দননগর এক্সপ্রেস’ ঈশানের সামনে। কিন্তু তা ফলপ্রসূ হয়নি। প্রথম স্পেলে ঈশান ১২ ওভারে ৪টি মেডেন সহ ২৪ রান দিয়ে তিনটি উইকেট তুলে নেন। তাঁর তৃতীয় সাফল্য শ্রীকর ভরত (২)। অভিষেক ম্যাচে আকাশের প্রথম শিকার করণ শিন্দে (৬)। বি অমিতের স্যুইংয়ে পরাস্ত হন শশীকান্ত (১)।
চা-পানের বিরতির পর বাংলার বোলাররা কিছুটা গা ছাড়া ভাব দেখানোয় সুযোগ কাজে লাগায় অন্ধ্রের ব্যাটসম্যানরা। সেটা শেষ স্বীকার করে নিয়ে ঈশান। তিনি বলেন, ‘আমি শেষ স্পেলে বাজে বল করেছি। তবে এখনও ফলো-অন করানোর সুযোগ রয়েছে।’
হনুমাকে আউট করার পর বাড়তি উচ্ছ্বাস দেখা যায় ঈশানের মধ্যে। তাঁর কথায়, ‘ইডেনের বাইশ গজে প্রতিটি উইকেটই গর্বের। তিনটি শিকারের মধ্যে হনুমারটাই সেরা। খেলাটা ও ঘুরিয়ে দিতে পারত। হনুমাকে দেওধর ট্রফিতে বাউন্সারে আউট করেছিলাম। এখানে বাউন্সারের প্রয়োজন পড়েনি। কারণ, বল দু’দিকেই মুভ করছিল। অনেক সুবিধা পেয়েছি আমরা।’
গতকাল স্বপ্ন জাগিয়ে উড়ান শুরু বাংলার নতুন পেস ব্যাটারির। ঈশান পোড়েল পরিচিত নাম। দেশের উদীয়মান পেসার। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপানোর প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর সামনে। জানুয়ারিতে তিনি ভারতীয় ‘এ’ দলের হয়ে খেলতে যাচ্ছেন নিউজিল্যান্ডে। কিন্তু মুকেশ কুমার, আকাশ দীপ, বদুপল্লি অমিতের নাম ক’জন জানেন? আকাশ অভিষেক ম্যাচ খেলছেন। মুকেশ কিংবা অমিতের রনজি ম্যাচের সংখ্যাও হাতে গোনা। সিনিয়র বোলার অশোক দিন্দা শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বাদ পড়ায় এই ম্যাচে নেই। তাই বাংলার ড্রেসিং-রুমে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছেন তারুণ্যের জয়গান। ঈশান, আকাশরাই এখন বাংলার পেস আক্রমণের ভবিষ্যৎ।