আসামে ডিটেনশন ক্যাম্পের পরিকাঠামো তৈরির কাজ অনেক আগে থেকেই চলছিল। গতকাল রাহুল গান্ধীর টুইটারে পোস্ট করা একটি ভিডিও’র সুবাদে ফের শিরোনামে আসামের ডিটেনশন সেন্টার। আসামের গোয়ালপাড়া জেলার মাটিয়ার তৈরি হচ্ছে দেশের প্রথম ডিটেনশন সেন্টার গড়ার কাজ।
সম্প্রতি আসামে প্রকাশিত জাতীয় নাগরিকপঞ্জির তালিকা থেকে বাদ গিয়েছেন প্রায় ১৯ লক্ষ মানুষের নাম। এদের মধ্যে যারা নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারবেন না তাদের ঠাঁই হবে এই ক্যাম্পে। জানা গেছে, সাতটি ফুটবল মাঠের সমান প্রায় আড়াই হেক্টর জায়গাজুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই ডিটেনশনে সেন্টারে প্রায় ৩ হাজার জনকে রাখা যাবে। তার জন্য তৈরি হয়েছে ৪ তলার ১৫টি বিল্ডিং। ডিটেনশন সেন্টারের চারপাশ লাল রংয়ের উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা থাকবে। ভিতরের দিকে পাঁচিলের উচ্চতা হবে ৬ ফুট এবং বাইরের পাঁচিলের উচ্চতা হবে প্রায় ২০ ফুট। নিরাপত্তার জন্য বেশ কয়েকটি ওয়াচ টাওয়ারও তৈরি করা হচ্ছে। আসাম সরকারের আশা, জানুয়ারির মধ্যেই শেষ হবে কাজ।
প্রসঙ্গত, এই ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করছেন যেসব শ্রমিক তারা নিজেরাই শঙ্কিত। কারণ, তাঁদের অনেকেই শরণার্থী হয়ে এদেশে ঢুকেছিলেন। তাঁদের আশঙ্কা, এই ডিটেনশন সেন্টার চালু হলে সেখানে তাঁদেরও অনেকের ঠাঁই হতে পারে। গত বছর ৪৬ কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ শুরু করে আসাম পুলিশ হাউসিং কর্পোরেশন লিমিটেড।