সূর্যগ্রহণের মেঘাচ্ছন্ন দিনে বাংলা শিবিরে নেমে এল অন্ধকার। এদিন আকাশ মেঘলা থাকায় মাত্র ২১ ওভার ও ১০১ মিনিট খেলা হয়। তার মধ্যেই ছয় উইকেট হারিয়ে ২৮৯ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলা। প্রথমদিন দুরন্ত ছন্দে শুরু করলেও দ্বিতীয় দিনে তার তাল কেটে যায়। তবে মেঘলা আকাশ ও স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ার মাঝে ঈশান পোড়েল, আকাশ দীপদের গতির বিরুদ্ধে পরীক্ষা দিতে হয়নি হনুমা বিহারীদের।
সূর্যগ্রহণের জন্য মোট ১৭টি রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে বিঘ্ন ঘটে। দিল্লী ও কর্নাটককে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়, ম্যাচ শুরু হবে সাড়ে এগারোটার পরে। কিন্তু ইডেনে নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৮-৪৫ থেকে শুরু হয় ম্যাচ। সূর্যগ্রহণ ও খারাপ আবহাওয়ার জন্য মোট চার বার ম্যাচে বিঘ্ন ঘটে। শুরুতে চার ওভার হওয়ার পরে ক্রিকেটারদের ড্রেসিংরুমে যাওয়ার নির্দেশ দেন আম্পায়ারেরা। ২০ মিনিট বন্ধ থাকে ম্যাচ। ফের ৯টা বেজে ২৭ মিনিটে ম্যাচ শুরু হয়। পাঁচ ওভার হওয়ার পরে ফের লাইটোমিটার দেখে ম্যাচ বন্ধ করার নির্দেশ দেন আম্পায়ারেরা। মধ্যাহ্নভোজের পরে আলো কিছুটা বাড়লেও ৪৩ মিনিটের বেশি ম্যাচ হয়নি।
একাধিক বার বিঘ্ন ঘটায় ব্যাটসম্যানেরাও সমস্যায় পড়েন। মেঘলা আবহাওয়ায় স্যাঁতসেঁতে পিচে একেই ব্যাট করা কঠিন। তার উপরে বার বার খেলা বন্ধ হলে উইকেটে থিতু হওয়ার কাজটিও ঠিক মতো করা যায় না। সেটাই কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় দ্বিতীয় দিন। ২৪১-৪ স্কোরে প্রথম দিন শেষ করার পরে এ দিন ৪৮ রানের মধ্যে ছয় উইকেট হারায় বাংলা। প্রথম দিন অপরাজিত থাকা অভিষেক রামন এ দিন মাত্র দু’রান যোগ করে ১১২ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। শ্রীবৎস গোস্বামীর ৭৭ বলে ২৫ রানের লড়াকু ইনিংস ছাড়া কেউই দাঁড়াতে পারেননি। প্রথম ম্যাচে মাঝের সারির ব্যাটসম্যানেরা রান পাওয়ায় বিপক্ষের সামনে বড় লক্ষ্য দিতে পেরেছিল বাংলা। এ দিন তাঁরাই ব্যর্থ।