অস্ট্রেলিয়া বনাম নিউজ়িল্যান্ডের বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম দিনের শেষে আলোচনায় একটাই নাম। স্টিভ স্মিথ। মেলবোর্নে বৃহস্পতিবার দর্শক সংখ্যা ছিল ৮০,৪৭৩। স্মিথ ব্যাট করতে নামার সঙ্গে সঙ্গেই এই দর্শকের একটা অংশ বিদ্রুপ করতে থাকে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ককে। অ্যাশেজ চলাকালীন ইংল্যান্ডের মাটিতে দর্শক-বিদ্রুপের মুখে পড়তে হয়েছিল স্মিথকে। কিন্তু ঘরের মাঠে খেলতে নেমেও এই পরিস্থিতির মুখে পড়বেন, ভেবেছিলেন কি?
দর্শকদের বিদ্রুপে প্রভাবিত না হলেও আম্পায়ারের একটা সিদ্ধান্তে কিন্তু মাথা গরম করে ফেলেছিলেন স্মিথ। অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানদের আক্রমণ করতে শর্ট বল করার রাস্তা নিয়েছিলেন নিউজ়িল্যান্ড পেসাররা। দিনের ২৬তম ওভারে নিল ওয়াগনারের ও রকমই একটা শর্ট বল ছাড়তে গিয়ে শরীরে লাগে স্মিথের। তিনি রান নিতে গেলে বাধা দেন আম্পায়ার নাইজেল লং। ওই ওভারেই আবার একই ভাবে বল লাগে স্মিথের শরীরে। বল যখন ফাইন লেগের দিকে যাচ্ছে স্মিথ দৌড়ে সিঙ্গল নেন। কিন্তু আম্পায়ার ‘ডেড বল’ ঘোষণা করে দেন। যেটা মানতে পারেননি স্মিথ। তর্কাতর্কি শুরু করে দেন আম্পায়ারদের সঙ্গে। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। কারও, কারও মন্তব্য, স্মিথের থেকে আর কী বেশি আশা করা যেতে পারে।
তবে শেন ওয়ার্নের মতো কিংবদন্তি স্পিনার পাশে দাঁড়িয়েছেন স্মিথের। ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে ওয়ার্ন বলেছেন, ‘‘আম্পায়ারের কাছে নিয়মের বইটা পাঠিয়ে দেওয়া উচিত।’’ নিয়ম অনুযায়ী, বাউন্সার দেখে ব্যাটসম্যান বাঁচার জন্য সরে যেতে চাওয়া সত্ত্বেও যদি বল তাঁর শরীরে লাগে, তা হলে রান নেওয়া যেতে পারে। ধরে নেওয়া হচ্ছে, এ ক্ষেত্রে আম্পায়ার মনে করেছিলেন ব্যাটসম্যান নিজেকে বাঁচানোর যথেষ্ট চেষ্টা করেননি। কারণ যাই হোক, আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে মাথা গরম করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন স্মিথ।
প্রথম দিনের শেষে ৭৭ রানে অপরাজিত স্মিথ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘আমাকে কেউ বিদ্রুপ করছিল নাকি? সত্যি বলতে আমি কিছু শুনিনি। আমি এখন এ সবে কানই দিই না। মাথায় ঢুকতেই দিই না কে কী বলছে। সেটা ভাল হোক কী খারাপ।