সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে নিয়ে দেশের প্রায় সব রাজ্যেই কম-বেশি বিক্ষোভ চলছে। খোদ দিল্লীতেও সেই আঁচ পড়েছে। এমনকি বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতেও এই একই চিত্র। রাস্তা থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গনগুলোতেও চলছে প্রতিবাদের ঝড়। যোগী রাজ্যের অন্যতম বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়েও সেই আঁচ ছড়িয়েছিল। সেই প্রতিবাদে পুলিশ হামলা চালিয়ে ছত্রভঙ্গ করেছিল।এখানেই পুলিশের গুলিই প্রাণ কেড়ে নিয়েছে পরিবারের আদরের ছেলেটির, পুলিশের গুলি চালানোর ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর কান্নায় ভেঙে পড়লেন সদ্য পুত্রহারা এক বৃদ্ধ।
কয়েকদিন আগেই যে ঘরে আলো জ্বলছিল, সেই ঘর এখন ছেলে হারানোর শোকে অন্ধকার। নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলাকালীন সেটি সহিংস রূপ পেলে পরিস্থিতি সামাল দিতে গুলি চালাতে হয় পুলিশকে, আর বিক্ষোভকারী-পুলিশ সংঘর্ষ চলাকালীনই পুলিশের গুলিতেই প্রাণ হারিয়েছেন ঘরের ছেলে, এমনটাই অভিযোগ করছেন মৃত যুবকের বাবা সহ গোটা পরিবার। শুধু তাই নয়, গুলি লাগার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ছেলেকে চোখের দেখাটুকুও দেখতে পারেননি তিনি, কেননা চিকিৎসকরা সেই সময়ে দেখা করতে দেয়নি মুমূর্ষু ছেলের সঙ্গে, অভিযোগ উত্তরপ্রদেশের কানপুরের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির ।
শুক্রবার উত্তরপ্রদেশে সহিংস বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশের গুলি চালানোর আরও একটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। কানপুরেও পুলিশ গুলি চালাচ্ছে, প্রকাশ পেয়েছে সেই ভিডিও। ভিডিওতে, দু’জন পুলিশকে গুলি চালাতে দেখা গেছে। কানপুরের ওই সহিংসতায় ৩ জনের মৃত্যুর খবর মেলে, জানা গেছে, ওই যুবক তারই মধ্যে একজন।
কানপুর থেকে পুলিশ গুলি চালানোর ভিডিওটি সামনে এসেছে, এই ভিডিওটি। যেখানে দেখা গেছে, ২০ ডিসেম্বর কানপুরে নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে সহিংসতায় ৩ জন নিহত হয়েছিল। একই সময়ে, ইউপি পুলিশ জানিয়েছে যে কেবল রাবার বুলেট এবং পেললেট বন্দুক দিয়ে গুলি চালানো হয়েছিল। তবে ভিডিওতে পুলিশ সদস্যদের গুলি চালাতে দেখা গেছে। এর আগেও কানপুরের একটি ভিডিও নিজেই প্রকাশ পেয়েছিল, যাতে ইউপি পুলিশ গুলি চালাতে দেখা গেছে।