ড্রেসিংরুমে দলীয় বৈঠক শেষে বোলিং কোচ রণদেব বসুর সঙ্গে উত্তেজিত বাক্যবিনিময় হয় তাঁর। ফলে আবার দল থেকে বাদ পড়েন তিনি। শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে অন্ধ্রপ্রদেশ ম্যাচের আগে দল থেকে ছিটকে গেছেন অশোক দিন্দা। তাই তাঁকে ছাড়াই রঞ্জি ট্রফিতে নতুন করে পথ চলা শুরু করল বাংলা। আর তাঁর বদলে এদিন রঞ্জিতে অভিষেক হয় আকাশ দীপের। অনেকে মনে করছেন, তিনিই দিন্দার বিকল্প হিসাবে ভাবা হচ্ছে।
বাংলার টিম ম্যানেজমেন্ট দিন্দাকে ছাড়াই এগিয়ে যাওয়ার নীল নকশা প্রায় তৈরি করে ফেলেছে। কোচ অরুণ লালের কথা শুনেও তাই মনে হল। বুধবার ইডেনে বাংলা-অন্ধ্রপ্রদেশ রনজি ম্যাচের প্রথম দিনের খেলা শেষে দাঁড়িয়ে অরুণ লালকে প্রশ্ন করা হয়, অশোক দিন্দার না থাকাটা কতটা প্রভাব ফেলবে এই ম্যাচে? জবাবে লালজি বলেন, ‘দিন্দার না খেলাটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। তবে কারও জন্য কিছু থেমে থাকে না। দিন্দার জায়গায় নতুন কেউ খেলবে। একই সঙ্গে আমরা আরও একটা দিন্দা খুঁজে নেওয়ার সুযোগ পাব। যদি একজন তরুণ বোলার ওর জায়গায় খেলতে নেমে পাঁচটা উইকেট তুলে নেয়, তাহলে দলের ভারসাম্য বাড়বে। তাই রিজার্ভ বেঞ্চকেও দেখে নেওয়া দরকার। তাই বিশেষ কারণে যদি কেউ না খেলতে পারে, তার জায়গায় নতুন কেউ সুযোগ কাজে লাগায়, তাহলে সব সময়ে সেটা স্বাগত। এটা বাংলা দলের পক্ষে ইতিবাচক হবে।’
অশোক দিন্দাকে কেন শেষ মুহূর্তে অন্ধ্রপ্রদেশ ম্যাচে বাংলা দল থেকে বাদ দেওয়া হল, তা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলতে রাজি হচ্ছেন না সিএবি কর্তারা। নির্বাচকরাও এই ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। যাঁর সঙ্গে দিন্দার ড্রেসিংরপমে বিবাদ হয়েছিল, সেই রণদেব বসুও মিডিয়ার থেকে দূরে রইলেন। সিএবি’র যুগ্মসচিব দেবব্রত দাসের কথায়, ‘দিন্দাকে বাদ দিয়েছে নির্বাচকরা। এখানে আমাদের কিছু বলার নেই। আমরা টিম সিলেকশনের পর জানতে পেরেছি।’