আগেই বদলা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। আর তারপর থেকেই পুলিশের গুলিতে নিহত একের পর এক আন্দোলনকারীর রক্তে ভিজেছে উত্তরপ্রদেশের মাটি। যার ফলে এবার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলন দমনে যোগীর পুলিশের ‘অতি সক্রিয়’ ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরেই সিএএ বিরোধী আন্দোলন দমনে লাঠি, কাঁদানে গ্যাস, গুলি চালিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। আর তাতেই অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশিন রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশককে নোটিস পাঠিয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব তলব করেছে।
যদিও তাতে পুলিশ সংযত হয়েছে বলে মনে করার কোনও কারণ নেই। কারণ এরই মধ্যে রামপুর পুলিশ সেখানে সরকারি সম্পত্তি নষ্টের দায়ে ২৮ জনের কাছে নোটিস পাঠিয়েছে। তাতে ১৪ লক্ষ টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়ে তাঁদের সেই টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে। এদিকে যাঁদের কাছে নোটিস গিয়েছে তাঁদের অধিকাংশই হত দরিদ্র।
এদেরই মধ্যে একজন মুন্নি বেগম। তিনি জানান, তাঁদের আইনজীবী দাঁড় করানোর মতো টাকাই নেই। এদিকে তাঁর ছেলে জমিরকে পুলিশ নিয়ে গিয়েছে এবং তাঁদের বাড়িতে নোটিস এসেছে। মুজফফরনগরে এই অভিযোগ আকছার শোনা যাচ্ছে, যাঁরা ক্রমশ সচ্ছল হচ্ছেন এমন মুসলিম পরিবারগুলিকে টার্গেট করেছে পুলিশ।
এদিকে মেরঠের বিস্তীর্ণ এলাকায় পুলিশের পোস্টার পড়েছে, ‘ওয়ান্টেড রায়টার্স’। এই পোস্টারে রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন মেরঠ শহরের বাসিন্দারা। তাঁদের বক্তব্য, পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে যাঁদের, তাঁদের পরিবারকে ‘দাঙ্গাকারী’ আখ্যা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। কার্যত যোগী প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে মেরঠ।
গত শুক্রবারই পুলিশের অমানবিক অত্যাচারের শিকার হন সিএএ-বিরোধী আন্দোলনকারীরা। অভিযোগ উঠছে, ঘটনার চারদিন পরেও রেহাই নেই স্থানীয়দের। বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চলছে৷ সেইসঙ্গে দেওয়া হচ্ছে হুমকিও।