নিছক মামুলি আর্থিক মন্দা নয়। তার চেয়েও বেশি কিছু। ভারতের অর্থনীতি সম্পর্কে এমনই মন্তব্য করলেন নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রাক্তন উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যম। চলতি বছরের শুরুতেই তিনি বলেছিলেন, ২০১১ থেকে ২০১৬-র মধ্যে ভারতের মোট জাতীয় উৎপাদন বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। সেই সঙ্গে সাবধান করে দিয়েছিলেন, জিডিপি-র বৃদ্ধিকেই অর্থনীতির উন্নতির একমাত্র সূচক বলে ধরে নেওয়া ঠিক নয়। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, জিডিপি বিকাশের হার থেকেই কোনও সিদ্ধান্তে না আসাই ভাল। বরং জিডিপি-র তথ্যগুলি ভালো করে খতিয়ে দেখা উচিত।
এক সাক্ষাৎকারে সুব্রহ্মণ্যম বলেন, তেল বাদে অন্যান্য পণ্যের আমদানি কমেছে ছয় শতাংশ। রফতানি কমেছে এক শতাংশ। মূলধনী পণ্যের শিল্পে বিকাশ কমেছে ১০ শতাংশ। ভোগ্যপণ্য উৎপাদন বৃদ্ধির হার দু’বছর আগেও ছিল পাঁচ শতাংশ, এখন হয়েছে এক শতাংশ।
সুব্রহ্মণ্যমের কথায়, ‘২০০০ থেকে ২০০২ সালের মধ্যেও আর্থিক মন্দা চলছিল। কিন্তু তখন রফতানি, ভোগ্যপণ্যের উৎপাদন, রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত তথ্যগুলি দেখলে বোঝা যেত, অর্থনীতির হাল তত খারাপ নয়।’ এরপরেই তিনি বলেন, ‘ভারতে এখন যা চলছে, তা মামুলি আর্থিক মন্দা নয়। ব্যাপারটা তার চেয়েও অনেক বেশি কিছু।’
গত জুলাই মাসে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, অর্থনীতির হাল বোঝা যায় যে সূচকগুলির সাহায্যে, তার প্রত্যেকটার অবস্থা খারাপ। ভারতের অর্থনীতি কয়েকটা বড় ধরনের শক পেয়েছে। তার পরেও বলা হচ্ছে, জিডিপি-র বৃদ্ধি ৭.৭ শতাংশ থেকে সামান্য কমে হয়েছে ৬.৯ শতাংশ। ভারতের অর্থনীতি পাঁচটি বড় শক পাওয়ার পরেও জিডিপি-র ওপরে এত কম প্রভাব পড়ল কী করে?