আমরা ভেবেছিলাম, মুসলিমদের একাংশের মধ্যে থেকে প্রতিবাদ আসবে। সেজন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে এত মানুষ রেগে উঠবেন বুঝতে পারিনি। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই মন্তব্য করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সঞ্জীব বালিয়ান। তাঁর কথায়, ‘আমি বুঝতেই পারেনি এরকম বিক্ষোভ হতে পারে। শুধু আমি কেন, অন্যান্য বিজেপির নেতা, এমনকি বিধায়করাও বুঝতে পারেনি এরকম রাগ দেখাবেন সাধারণ মানুষ।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্য, ‘আমরা সবাই এখন ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে ব্যস্ত।’
পর্যবেক্ষকদের মতে, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পরে নরেন্দ্র মোদী সরকার এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। হাজার হাজার মানুষ গত দু’সপ্তাহে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ২১ জন। বিজেপির আরও কয়েকজন নেতা সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, মানুষের বিক্ষোভ দেখে আমরা প্রথমে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু দু’সপ্তাহ ধরে এত বড় বিক্ষোভ চলবে ভাবতে পারিনি।
এই বিক্ষোভের ফলে সরকার বিপদে পড়বে না। লোকসভায় বিজেপির গরিষ্ঠতা আছে। কিন্তু নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিক্ষোভের ফলে ধাক্কা খেয়েছে মোদীর ভাবমূর্তি। আগে ভাবা হত, প্রধানমন্ত্রী মানুষের মুড বুঝতে ভুল করেন না। যে কোনও বিতর্কিত সিদ্ধান্তকে তিনি কার্যকর করতে পারেন। কিন্তু এই বিক্ষোভের পরে অনেকেই ভাবছেন, পাবলিকের মুড বুঝতে মোদী ব্যর্থ।
রাজনৈতিক মহলের মতে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই বক্তব্যেই পরিস্কার বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকার ধরেই নিয়েছিল, সংখ্যার জোরে যেকোনও সিদ্ধান্ত তাঁরা নিতে পারেন। কিন্তু দেশের মানুষ তাঁদের বুঝিয়ে দিয়েছেন, না বারবার একই জিনিস হবে না।