গোটা দেশে ইতিমধ্যেই আছড়ে পড়েছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ বিরোধী ঝড়। বাদ যায়নি শিক্ষাঙ্গনগুলিও। প্রতিবাদে সরব একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা।
আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়ালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাণ থাকা পর্যন্ত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় আন্দোলন চলবে বলেও জানান তিনি।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় পথে নেমে আন্দোলনে শামিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাজাবাজার থেকে মহামিছিল শুরু করে তৃণমূল। তাতে নেতৃত্ব দেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিছিল শেষে মল্লিকবাজারে একটি সভা করেন তিনি। ওই মঞ্চ থেকে পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “ছাত্রাবস্থা থেকে আন্দোলন করেছি। আন্দোলনের গতি বুঝি। প্রথমদিন বলেছি এটা হতে পারে না। ছাত্র আন্দোলনের পাশে আছি। আন্দোলন করলে পড়ুয়াদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আন্দোলনের ভয়ে হস্টেল বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ছাত্রদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
সিএএ-র বিরোধিতায় কর্মসূচি যে চলবে তা এদিন স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “জীবন দিয়ে অধিকার রক্ষার আন্দোলন চলবে। বাংলায় ধর্মীয় বিভাজন করা যাবে না।” শুধু বাংলাই নয়, অন্যান্য রাজ্যের আন্দোলনকারীদের পাশে আছেন বলেও আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের সময় অসমে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। সেবারও গুয়াহাটি বিমানবন্দরে বাধা পেয়েছিলেন তাঁরা। গত রবিবার লখনউয়ে যাওয়ার পথেও দীনেশ ত্রিবেদীর নেতৃত্ব তৃণমূলের তিন প্রতিনিধিকে বিমানবন্দরেই আটকে দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এবার পালা কর্ণাটক সফরের। মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী দীনেশ ত্রিবেদী, দোলা সেন-সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল প্রতিনিধি কর্ণাটকে যাবেন। নিহতদের পরিজনদের হাতে ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যও তুলে দেবেন তাঁরা। তবে তৃণমূল প্রতিনিধিদের আটকানোর প্রসঙ্গে এদিন ক্ষোভ উগড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘রাজ্যে বিজেপির মিছিলে বাধা দেওয়া হয়নি। তা সত্ত্বেও লখনউ, মিরাটে কেন বাধা দেওয়া হবে? গুয়াহাটিতেও তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে বাধা দেওয়া হয়েছে। গায়ের জোর দেখাবেন না। আগুন নিয়ে খেলবেন না।’