এনআরসি ও সিএএ বিরোধী আন্দোলন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘এই রাজ্যে আমার মৃতদেহের ওপর দিয়ে লাগু করতে হবে নাগরিকত্ব আইন।’ একই সুরে এবার নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বেঁকে বসলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। তিনিও বলে দিলেন, রাজ্যে যতদিন কংগ্রেস ক্ষমতায় রয়েছে ততদিন এই আইন তিনি লাগু হতে দেবেন না। কেননা এই আইন জনবিরোধী। একই সঙ্গে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন দেশের সংবিধানের পরিপন্থী বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি যতদিন আছেন, ততদিন রাজ্যে এই জনবিরোধী আইন লাগু হবে না।
এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরাসরি আক্রমণ শানিয়েছেন কমলনাথ। তাঁর স্পষ্ট কথা, ‘মোদীজি ও অমিত শাহজি কী মনে করেন, আমরা মূর্খ? আমরা ওঁদের অভিপ্রায় বুঝি না?’ ভোপালে একটি নাগরিকত্ব আইন বিরোধী মিছিলে সামিল হয়ে একথা বলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। মাথায় গান্ধী টুপি পরে এই শান্তি মিছিলে অংশ নেন তিনি। হাতে ছিল এনআরসি এবং সিএএ’র বিরোধী পোস্টার। কমলনাথের মন্ত্রিসভার সদস্যরাও শান্তি মিছিলে শামিল হয়েছিলেন। এখান থেকেই তিনি স্পষ্ট করে দেন, মধ্যপ্রদেশ সরকার যে এনআরসি’রও বিরোধী। কংগ্রেসের নেতা-কর্মী ছাড়াও নানা ভাষী নানা মতের সাধারণ মানুষও এই মিছিলে পা মেলান।
কমলনাথের কথায়, ‘আমি চল্লিশ বছরের বেশি সময় ধরে সক্রিয় রাজনীতিতে রয়েছি, সংসদেও গিয়েছি। কিন্তু এই রাজনৈতিক জীবনে কখনও এনআরসি ও সিএএ-র মতো সংবিধান বিরোধী আইন দেখিনি। দেশের অখণ্ডতা নষ্ট করে দেবে এই আইন।’ প্রসঙ্গত, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা ইতিমধ্যেই এনআরসি ও সিএএ নিয়ে বেঁকে বসেছেন। অনেকেই বলেছেন, এনআরসি নিজের রাজ্যে লাগু হতে দেবেন না। তার মধ্যে এনডিএ শরিকদল জেডিইউ-ও রয়েছে। বিজেপি বিরোধী সরকারগুলো তো ইতিমধ্যেই না বলে দিয়েছে। ফলে এই দুই আইন যে আদতে বিরোধী জোট মজবুত করতে সাহায্য করছে সেটাও স্পষ্ট।