সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দেশের প্রায় সব রাজ্যেই কম-বেশি বিক্ষোভ চলছে। খোদ দিল্লীতেও সেই আঁচ পড়েছে। এমনকি বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতেও এই একই চিত্র। বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়েছিল উত্তরপ্রদেশেও। আর সেই আগুনে পুড়েছে যোগীর রাজ্য। লখনউ থেকে কানপুর, আমেঠি থেকে প্রয়াগরাজ, মায় যোগীর খাসতালুক গোরক্ষপুরেও বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয়। সরকারি হিসাবে, হিংসায় মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। অধিকাংশই পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও বেসরকারি হিসাবে সেই সংখ্যা ১৯ জন।
এবার এই ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজিকে নোটিস পাঠাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। পুলিশের গুলিতে বিক্ষোভাকারীদের মৃত্যুতে চার সপ্তাহের মধ্যে ডিজির জবাব তলব করেছে কমিশন। মঙ্গলবারই গুলি চালানোর কথা স্বীকার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে যোগীর রাজ্যে গত কয়েকদিন ধরে যেভাবে বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়েছে, তাতে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে গুলি চালাতেই হত বলে স্বীকারোক্তি পুলিশ আধিকারিকদের।
যদিও দিন কয়েক আগে ডিজি ও পি সিং দাবি করেছিলেন, পুলিশ একটাও বুলেট চালায়নি। কিন্তু বিজনৌরের পুলিশ সুপার সঞ্জীব ত্যাগী স্বীকার করেন, আত্মরক্ষার জন্য পুলিশ গুলি চালায় বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে। যার ফলে দু’জনের মৃত্যু হয়। তার মধ্যে একজন আইএএস পরীক্ষার্থীও ছিলেন। নিহতের পরিবারের দাবি অবশ্য, সেদিন গন্ডগোলের মধ্যেই ছিলেন না ওই যুবক। বিনা কারণে তাঁকে গুলি করে মেরেছে পুলিশ।