নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সারা দেশে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়। সেই ঝড় সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে মোদী সরকার। এই ঝড়ে বিপর্যস্ত রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম উত্তরপ্রদেশ। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি রাজ্যজুড়ে। পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন সাধারণ মানুষ। এইসব পরিবারদের সঙ্গে দেখা করতেই উত্তরপ্রদেশ যাওয়ার কথা ছিল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর। তবে মীরাটে তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হল না।
গত সপ্তাহে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ করায় মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। মীরাটে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিয়ে মারা গিয়েছেন ছ’জন। জানা যাচ্ছে, পুলিশ কংগ্রেস নেতৃত্বকে জানিয়ে দেয়, মীরাটে বহু জন সমাগম নিষিদ্ধ হওয়ার কারণেই সেখানে যেতে পারবেন না তাঁরা। তাঁদের বলা হয়, এই সফর বাতিল করতে। তবে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, এসইউভি গাড়িতে রাহুল গান্ধী ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধী মীরাট যাত্রা করেন মঙ্গলবার সকালে। কিন্তু পুলিশ জানিয়ে দেয়, তাঁরা মীরাটে ঢুকতে পারবেন না। এরপর তাঁদের কনভয় ফিরে আসে দিল্লীতে।
পুলিশের এই বাধার পর রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, ‘‘আমরা পুলিশের কাছ থেকে জানতে চাই, তাদের কাছে কোনও অর্ডার আছে কিনা। তারা কোনও অর্ডার আমাদের দেখাতে পারেনি। কিন্তু তারা এটা জানিয়ে দেয়, আমাদের ফিরে যেতে হবে।” এরপর রাহুলরা প্রস্তাব দেন, তাঁরা তাঁদের সফর বাতিল করছেন। কেবল তিনজনের একটি দল সেখানে যেতে চায়। পুলিশ তাঁদের সেই অনুরোধ রাখেনি।
শনিবার প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বিজনৌর গিয়েছিলেন। সেখানে দু’জন ব্যক্তির মৃত্যু হয় নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ করতে গিয়ে। সেখানে যেতে অবশ্য বাধা পাননি কংগ্রেস নেত্রী। ওই দুই মৃত্রে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তবে আজ তাঁদের মীরাটে ঢুকতেই দিল না উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।