নতুন বছরে ক্যাপ্টেন কোহলি ফিরে পেলেন তাঁর অন্যতম সেরা অস্ত্র বুম বুম বুমরা! নতুন বছরে ভারতীয় টিমের জন্য সুখবর। ফিট হয়ে টিমে ফিরছেন জসপ্রীত বুমরা। আবার রোহিত শর্মার ভক্তদের মনটা একটু খারাপ হতে পারে। কারণ, জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হল তাঁকে। সেই সঙ্গে শ্রীলঙ্কা এবং অস্ট্রেলিয়া, দুটো সিরিজেই বিশ্রাম পেলেন ভারতের পেসার মহম্মদ সামি। সোমবার, শ্রীলঙ্কা এবং অস্ট্রেলিয়া দুটো সিরিজেরই টিম ঘোষণা করেছেন নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান এমএসকে প্রসাদ। ফেরানো হল শিখর ধওয়ানকে।
ভারতীয় ক্রিকেট দলেও ব্যাটিংয়ে কোহলি ও বোলিংয়ে বুমরার এখন মেসি-সুলভ অবস্থান। টি-টোয়েন্টি জমানায় সব ধরনের ক্রিকেটে অপরিহার্য এবং সেরা— এমন ক্রিকেটার কমই পাওয়া যায়। বিরাট ও বুমরা সেই ক্লাবের দুই বিরল তারকা। আর এক চোট পাওয়া ক্রিকেটার, হার্দিক পাণ্ড্যর ফেরার জন্য নিউজিল্যান্ড সফর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। হার্দিক ‘এ’ দলের সঙ্গে আগে নিউজিল্যান্ডে যাচ্ছেন।
৫ জানুয়ারি গুয়াহাটিতে ভারত-শ্রীলঙ্কার প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজ শুরু হবে ১৪ জানুয়ারি। তবে দীপক চাহারের জন্য খারাপ খবর। এই মুহর্তে তাঁর ফিট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আইপিএলের আগে দীপক চাহারকে আর পাওয়া যাবে না। এর ফলে নভদীপ সাইনির দরজা খোলা রইল জাতীয় টিমে। হার্দিক পান্ডিয়া কবে ফিরবেন? সেই প্রশ্নের উত্তরে প্রসাদ বলেছেন, ‘জানুয়ারি তৃতীয় সপ্তাহের আগে মনে হয় না পুরো ফিট হার্দিককে পাওয়া যাবে।’
কটকে রবীন্দ্র জাডেজার সঙ্গে জুটি বেঁধে নির্ভীক ব্যাটিং করে ম্যাচ জেতানো শার্দূল ঠাকুর দু’টি দলেই আছেন। নবদীপ সাইনিকে নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের একটি অংশ খুব প্রসন্ন ছিল না। কিন্তু এই মুহূর্তে দেশের সব চেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন বোলারদের এক জন দিল্লির পেসার। রবিবার কটকেও তাঁর আগুনে গতি আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। সাইনিকে নিয়ে তাই প্রশ্নের চেয়ে প্রতিশ্রুতিই বেশি। তিনিও দু’টি দলেই জায়গা পেয়েছেন। রোহিত এবং শামি টি-টোয়েন্টিতে বিশ্রাম নিলেও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজে খেলবেন। ২০২০-তে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেখানে পেসারদের মধ্যে বুমরা, ভুবনেশ্বরের (আশা করা হচ্ছে ফিট থাকবেন) সঙ্গে প্রায় নিশ্চিত শামি। চতুর্থ পেসারের জন্য লড়াই চলছে সাইনি, চাহারদের মধ্যে। বুদবুদের মতো ভেসে উঠেও মিলিয়ে গিয়েছেন বাঁ হাতি খলিল আহমেদ, ডান হাতি মহম্মদ সিরাজেরা।
আপাতত টিকে গেলেও কেদার যাদবকে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেদার ব্যাট হাতে তেমন কিছুই করছেন না। প্রায় আন্ডারআর্মের ভঙ্গিতে জটিল ডেলিভারিতে তাঁর বোলিং (গাওস্কর মজা করে বলেন, ‘বিলো দ্য সি লেভেল’ অ্যাকশন) কাজে দিচ্ছে না। তা হলে কেদার কী জন্য আছেন? সোমবার রাজধানীতে নির্বাচনী সভায় কেউ কেউ প্রস্তাব দেন, অজিঙ্ক রাহানেকে ওয়ান ডে-তে ফেরালে কেমন হয়? বিদেশের মাঠে নিউজিল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্ত প্রতিপক্ষের সামনে রাহানের টেকনিক এবং অভিজ্ঞতা কাজে দিতে পারে। কিন্তু রাহানের দুর্ভাগ্য, যথেষ্ট সমর্থন জোটাতে পারেননি। ভারতের হয়ে তিনি শেষ ওয়ান ডে খেলেছেন গত বছর ফেব্রুয়ারিতে। ঘরোয়া এক দিনের ম্যাচেও দারুণ কিছু করছেন না। তার চেয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে চার নম্বরে শ্রেয়স আইয়ার, পাঁচে ঋষভ পন্থের মতো তরুণকে রেখে নকশা সাজানোরই পক্ষপাতী ভারতীয় দলের মস্তিষ্করা। আবার এটাও ঠিক যে, চাপের মধ্যে থাকা কেদার যাদব শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে কী করেন, সে দিকে পাঁচ নির্বাচক-সহ অনেকেই আগ্রহ ভরে নজর রাখবেন।