সিএএর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে পথে নেমেছে গোটা দেশ। মঙ্গলবার সকালে মধ্য দিল্লীর মান্ডি হাউসের সামনে জড়ো হয়েছিলেন অসংখ্য ছাত্রছাত্রী। হাতে ছিল ভগৎ সিং, মহাত্মা গান্ধী ও আরও অনেকের ছবি। ছিল নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি বিরোধী স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ডও। পুলিশ সূত্রে খবর, মান্ডি হাউস থেকে যন্তরমন্তর পর্যন্ত মিছিলের পরিকল্পনা ছিল পড়ুয়াদের। তবে তাদের অনুমতি দেয়নি পুলিশ।
তাই মান্ডি হাউসের বাইরে সকাল থেকেই রয়েছে আঁটোসাঁট নিরাপত্তা। মোতায়েন হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।
এদিনের জমায়েত সামিল হয়েছিলেন স্বরাজ ইন্ডিয়ার নেতা যোগেন্দ্র যাদব। যোগেন্দ্র যাদবের কথায়, “প্রধানমন্ত্রী বলছেন দেশে কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি হয়নি। কিন্তু আমরা সকলেই জানি ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির কাজ শুরু হয়েছে বহু জায়গায়। সেই তথ্যও আছে।”
গত সপ্তাহে রবিবার এনআরসি-র প্রতিবাদে মিছিল করেছিলেন জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। সেখানেই বিনা অনুমতিতে ক্যাম্পাসে ঢুকেছিল পুলিশ। বিনা কারণেই পড়ুয়াদের বেধড়ক মারধর করে তারা। প্রায় একই ঘটনা ঘটে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও। তারপর থেকে বিক্ষোভে ফুঁসছে রাজধানী। ১৪৪ ধারাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিল্লীর রাস্তায় দাঁপিয়ে মিছিল করেছিলেন প্রতিবাদীরা। ক্ষোভের আগুন শুধু দিল্লী নয় ছড়িয়ে পড়ে দক্ষিণের বেঙ্গালুরু এবং ম্যাঙ্গালোরেও। এই বিক্ষোভের মাঝে পড়ে ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছে বেশ কয়েকজন।
মঙ্গলবার তাই দিল্লীর মান্ডি হাউসের সামনে জমায়েত হতেই তৎপর হয়েছে পুলিশ। অশান্তি রুখতে এবং নিরাপত্তার খাতিরে যন্তরমন্তর পর্যন্ত মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়নি পড়ুয়াদের।