নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বেশ অস্বস্তিতে মোদী সরকার। সারা দেশের অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো নিজেদের রাজ্যে এনআরসি করতে দেবে না বলে সুর চড়িয়েছেন। পাশাপাশি, সারা দেশে এই আইন নিয়ে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। তার মধ্যেই অনেক রাজ্যই এনপিআর বা জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্ট্রার হবে না বলেও হুঙ্কার দিয়েছেন। কিন্তু এমতাবস্থায় দেশে এনপিআর করার জন্যও সুর নরম করলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এক নাগরিকত্ব আইনে রক্ষে নেই। দোসর আবার এনআরসি। দুইয়ে মিলে পরিস্থিতি সামাল দিকে একেবারে নাকের জলে চোখের জলে হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। যার জন্য মূলত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ‘ঔদ্ধত্ব’-কেই দায়ী করছে ওয়াকিবহাল মহল। ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে এনআরসি নিয়ে পিছু হটতে হয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এমতবস্থায় মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে সাক্ষাৎকার দিতে বসেছিলেন আমিত শাহ। মেনে নিলেন, নাগরিকপঞ্জী (এনআরসি) নিয়ে কোনও আলোচনায় হয়নি এখনও। না সংসদে, না কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়। একই সঙ্গে জনগণনার জন্য এদিনই মন্ত্রিসভার ছাড়পত্র পাওয়া এনপিআর নিয়েও ব্যাখ্যা দেন অমিত শাহ। এনপিআর নিয়ে তিনি বলেন, ‘জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (এনআরসি) ও জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্ট্রার (এনপিআর)-র মধ্যে কোনও সম্পর্কই নেই। আমি আজ এটা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিচ্ছি।’
গোটা দেশে এনপিআর লাগু করতে এদিনই ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। যা ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ ও কেরলে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেছেন তারা এই মুহূর্তে নিজেদের রাজ্যে এনপিআর স্থগিত রেখেছেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আবেদন, এমনটা যেন না করা হয়। অমিতের বার্তা, ‘এরকম করবেন না। আমি বিনিত অনুরোধ জানাচ্ছি দু’জন মুখ্যমন্ত্রীকেই। এই ধরনের পদক্ষেপ নেবেন না এবং সিদ্ধান্তটি ভেবে দেখবেন।’