দেশ জুড়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে অশান্তি ও অনিয়শ্চতা জারি। উত্তাপ ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। তার মধ্যেই এনপিআর নিয়ে বৈঠক করল মোদী মন্ত্রিসভার। এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে ২০২০ সালে ১লা এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অসম ছাড়া দেশের সব জায়গাতে জনগণনা হবে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
উল্লেখ্য এই এনপিআরকেই বিরোধীরা এনআরসির প্রথম ধাপ হিসাবে দেখছে। ইতিমধ্যেই এই জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জির প্রক্রিয়াকরণ বন্ধ করে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, কেরলের মতো রাজ্যগুলি। এনপিআর-কে সবুজ সংকেত দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা৷ এর জন্য বরাদ্দ হল সাড়ে আটহাজার কোটি টাকা৷
এনপিআর বা জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জি বা আদমসুমারি হল দেশে থাকা সকল বসবাসকারীদের একটি তালিকা। এদিকে ২০০৩ সালের নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী দেশে একটি নাগরিক পঞ্জি তৈরি করতে হবে। সেটি করার প্রক্রিয়া হল দেশে বসবাসকারী জনগণের মধ্যে থেকে নাগরিক ও বিদেশিদের আলাদ করা। প্রথমেই জনসংখ্যা পঞ্জি তৈরি হলে সেখানে থাকা কোনও সন্দেভাজন লোককে স্থানীয় আধিকারিকরা তাদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করার জন্য বলবে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে একটি খসড়া তালিকা তৈরি হবে। এদিকে এই জনসংখ্যা পঞ্জি তৈরির প্রক্রিয়া চলাকালীন ভারতীয়দের গোপন তথ্য, এমন কী তাদের পাসপোর্টের তথ্যও নেওয়া হবে।
এনপিআর বন্ধ করেছে বেশ কয়েকটি রাজ্য সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে রাজ্যে এবং দেশে প্রবল বিক্ষোভের কারণে পশ্চিমবঙ্গের পর কেরলের সিপিএম নেতৃত্বাধীন সরকারও এনপিআর-এর কাজ স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করে। কেরলে এনপিআরের কাজ হওয়ার কথা ছিল সামনের বছরের ১৫ এপ্রিল থেকে ২৯ মে-র মধ্যে। কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এনপিআর সাংবিধানিক মূল্যবোধ থেকে বিচ্যুত। এছাড়াও বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের বিবেচনাধীন রয়েছে। একই পথে হাঁটছে পাঞ্জাবও৷