গোটা দেশেই এখন এনআরসি ও সিএএ বিরোধিতায় আগুন জ্বলছে। বাংলাতেও এর প্রভাব পড়েছে। সিএএ-র বিরোধিতায় গত সপ্তাহে প্রতিদিনই পথে নেমেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরমধ্যেই সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিনের বৈঠকে অনগ্রসর শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের বার্ষিক ভাতা বাড়ানো থেকে শুরু করে নতুন স্টেডিয়াম গড়ার জন্য জমি দেওয়ার মতো একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমের সামনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র এইসব সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরেন।
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, এদিনের বৈঠকে পিছিয়ে পড়া শিশুদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পঞ্চম শ্রেণি থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত আগে বার্ষিক ৭৫০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হত। সেই ভাতা বাড়িয়ে বার্ষিক ৮০০ টাকা করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকেই এই ভাতা দেওয়া হবে। সব সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ও মাদ্রাসা স্কুলের ক্ষেত্রেই এই সুবিধা কার্যকর করা হবে। অন্যদিকে, অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানান, কলকাতায় ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট (আইআইএম)-এর দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের জন্য নিউটাউনে পাঁচ একর জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই জমির ব্যাপারে সরকারের কাজে আবেদন করেছিল আইআইএম কর্তৃপক্ষ।
এদিনের বৈঠকের পর আরও একটি সিদ্ধান্তের কথা জানান অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকার সময় পাঞ্জাবের অমৃতসর থেকে হুগলির ডানকুনি পর্যন্ত মালবাহী করিডর তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ীই ডানকুনিতে ৩৬.৫ একর জমিতে মালবাহী করিডরের টার্মিনাল তৈরি হবে। এই টার্মিনাল তৈরি করবে এসএফএ লজিস্টিক্স পার্ক প্রাইভেট লিমিটেড। এর ফলে আগামী দিনে অনেকে এখানে আসার জন্য উৎসাহিত হবেন বলেই জানিয়েছেন অমিতবাবু।
এছাড়া ডুমুরজোলাতে স্পোর্টস সিটি হবে বলেও জানিয়েছেন বাংলার অর্থমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, স্টেডিয়াম তৈরি করার জন্য সিএবিকে ১৪ একর জমি দেওয়া হচ্ছে। হিডকো ইতিমধ্যেই সেখানে কাজ শুরু করে দিয়েছে। বাংলার ছেলে-মেয়েরা খেলাধুলোর ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ পাবে। কয়েকদিন আগে এই ব্যাপারে বর্তমান বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নবান্নে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সেই সময় এই স্টেডিয়ামের ব্যাপারে তাঁদের কথা হয়েছিল। সৌরভকে সঙ্গে নিয়ে স্টেডিয়ামের জন্য জমি দেখার কাজও নাকি সেরে নিয়েছিলেন ফিরহাদ। সেই সিদ্ধান্তই এদিনের বৈঠকে নেওয়া হল।