দেশজোড়া এনআরসি-সিএএ বিরোধী আবহের মধ্যেই এবার কেন্দ্রের মোদী সরকারকে অহঙ্কারী, অশিক্ষিত ও ভীতু বলে তোপ দেগেছিলেন বলিউডের পরিচালক-প্রযোজক অনুরাগ কাশ্যপ। এবার তারই মাশুল গুনতে হল পরিচালক অনুরাগ তাঁকে। এক ধাক্কায় অনেকটাই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে অনুরাগের টুইটারের ফলোয়ারের সংখ্যা।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে অনুরাগ বলেছিলেন, ‘দিল্লীতে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মেট্রো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এটা এক ভীতু সরকার যার একমাত্র লক্ষ্য ভোটে জেতা।’ মোদী সরকারের অহঙ্কারী বলেও তোপ দেগেছিলেন অনুরাগ। বলেছিলেন, ‘সরকারের ভাবে, আমরা কিছু ভুল করতে পারি না, আমরা হারতে পারি না, আমরা ভুল স্বীকার করে পিছিয়ে আসতে পারি না। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে অশিক্ষা। দেশের অর্থনীতির কী হাল তা নেতা-মন্ত্রীরা জানেন না। তাঁরা শুধু একটা জিনিসই বোঝেন। যে ভাবেই হোক ভোটে জিতে ক্ষমতায় এসে নিজের ইচ্ছেমতো সব কাজ করো। তাতে দেশের কী হল, সে ব্যাপারে কোনও চিন্তা নেই কারও।’
শুধু তাই নয়। সিএএ সম্পর্কে তাঁর মত ছিল, ‘এই পরিস্থিতিটা অনেক দূর যাবে। সব সময়ে বলে আসা হয়েছে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জিতেছে এই সরকার। কিন্তু ভারতের জনসংখ্যা ১.৩ বিলিয়ন অর্থাৎ ১৩০ কোটি। তার মধ্যে ৯০ কোটি মানুষের ভোটাধিকার রয়েছে। এই ৯০ কোটির মধ্যে ৬৭ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছেন। অর্থাৎ প্রায় ৬০ কোটি মানুষ ভোট দিয়েছেন। সেই ভোটের ৩৮ শতাংশ অর্থাৎ ২৩ কোটি ভোট পেয়ে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। অর্থাৎ বিজেপি ভারতের জনসংখ্যার মাত্র ২০ শতাংশ মানুষের ভোট পেয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা হলেও মোটেও গোটা দেশ এই রায় দেয়নি।’
এরপরই হঠাৎ করে অনুরাগের টুইটারের ফলোয়ারের সংখ্যা এক ধাক্কায় কমে যায়। আগে ফলোয়ার সংখ্যা ছিল ৫ লক্ষ ২৪ হাজার। সেই ফলোয়ারের সংখ্যা কমে হয়ে গিয়ে এখন হয়েছে ৭৬ হাজার। বিষয়টির স্ক্রিনশট শেয়ার করে অনুরাগ লিখেছেন, টুইটার ইন্ডিয়া আমার ফলোয়ার সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে। তবে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, প্রতিবাদ করলেই হুমকি আসে। ঘর থেকে বেরোস না, দেখে নেব তোর ছবি কীভাবে চলে, ইত্যাদি হুমকি আসতেই থাকে। আর এই ব্যাপারটা খুবই নিয়মমাফিক পদ্ধতিতে চলছে। তাই দিল্লীতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হল।