ক্রিসমাসের উত্তাপে ইতিমধ্যেই গা সেঁকতে শুরু করেছে ইউরোপ। আর সুগন্ধের শহর প্যারিসে তো কথাই নেই। উৎসবের মেজাজেই গ্যালারিতে ভিড় জমিয়েছিলেন পিএসজি সমর্থকরা। নেইমার-অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ারাও ছিলেন খোশমেজাজে। ধারে ও ভারে অনেক পিছিয়ে থাকা অ্যামিয়েন্সের বিরুদ্ধে জয় পেতে তেমন ঘামই ঝরাতে হয়নি টুচেল-ব্রিগেডকে।
ম্যাচ শুরুর দশম মিনিটেই নেইমারের পাস থেকে লক্ষ্যভেদ এমবাপের (১-০)। এরপর ম্যাচ যত গড়িয়েছে ততই আক্রমণ তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে পিএসজি’র আক্রমণ। প্রথমার্ধে গোলসংখ্যা না বাড়ার অন্যতম কারণ ডি মারিয়াদের সুযোগ নষ্ট। বিরতির পর সেই ভুল শুধরে নেন নেইমাররা। ৪৬ মিনিটে দলের দ্বিতীয় গোল নেইমারের (২-০)। এরপর অ্যামিয়েন্স দু’বার ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি। ৬৫ মিনিটে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার পাস পেয়ে প্রথম পোস্ট দিয়েই বল জালে জড়ান এমবাপে (৩-০)। মিনিট দুয়েক পরে অ্যামিয়েন্সের একমাত্র গোল স্টিভন মেন্ডোজার (৩-১)। ম্যাচের শেষপর্বে হুয়ান বার্নাটের পাস থেকে বিপক্ষের কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন মাওরো ইকার্ডি (৪-১)। ১৮ ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট পেয়ে লিগ শীর্ষে নিজেদের অবস্থান মজবুত করেছে প্যারি সাঁজাঁ। এই জুটির উপরেই ভরসা করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বপ্ন দেখছেন প্যারি সাঁজাঁ’র অনুরাগীরা।