যোগী আদিত্যনাথের ইস্তফা চাওয়ায় এবার গ্রেফতার হতে হল কয়েকজন ছাত্রকে। আজ দিল্লীতে উত্তরপ্রদেশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কয়েকজন ছাত্র। উত্তরপ্রদেশে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনে ‘পুলিশি দমন পীড়নের’ বিরোধিতা করেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পদত্যাগ দাবি করেন। তারপরেই পুলিশ ৪ জনকে আটক করে। তবে এখনও অবধি তাঁদের পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।
গত সপ্তাহের শেষে যোগীর রাজ্যে ১৬ জনের মৃত্যু হয়। তার মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, পুলিশের গুলিতেই সাধারণ মানুষ মারা গিয়েছে। অন্যদিকে পুলিশের দাবি তারা গুলি চালায়নি। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের ২১টি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। গোটা রাজ্যে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
গত শনিবার বারাণসীতে একটি আট বছরের বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের উপর পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে হুড়োহুড়ির মধ্যে পড়ে পদপিষ্ট হয় মহম্মদ সাগির নামের সেই ছেলেটি। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনার পর গত কয়েক দিনে উত্তরপ্রদেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬। সাহারানপুর, দেওবাঁদ, সামলি, মুজফফরনগর, মিরাট, গাজিয়াবাদ, হাপুর, সম্ভল, আলিগড়, বাহারাইচ, ফিরোজাবাদ, কানপুর, ভাদোহী ও গোরক্ষপুরে সবথেকে বেশি অশান্তির খবর পাওয়া যাচ্ছে।
এই বিষয়ে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি ও পি সিংহ বলেছেন, ‘সব ক’টি মৃত্যুই হয়েছে গুলি-বিনিময়ের মধ্যে পড়ে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই সব স্পষ্ট হবে। পুলিশের গুলিতে কেউ মারা গেলে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হত।’ এমনকি এই বিক্ষোভে মহিলা ও শিশুদের হাতিয়ার করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।