ঝাড়খন্ডের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের ট্রেন্ড যা বলছে তাতে মহাজোটই ঝাড়খন্ডের মসনদে আসতে চলেছে । আর ফলাফলের ট্রেন্ড দেখে, জয়কে নিশ্চিত ভেবেই ইতিমধ্যেই দিল্লী থেকে রাঁচি পর্যন্ত উৎসবে সামিল হয়েছে কংগ্রেস৷ আতসবাজির সঙ্গে সঙ্গে মিষ্টি বিতরণও শুরু হয়েছে দেশের সমস্ত কংগ্রেসের কার্যালয়ে ৷
ঝাড়খন্ডের বিধানসভার লড়াইয়ে একদিকে যখন বিজেপি একাই কোমর বেঁধে নেমেছি, অন্যদিকে বিরোধী হিসেবে এই লড়াইয়ে ছিল ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস ও আরজেডির মহাজোট৷ আর সোমবার সকাল সকালই ঝাড়খন্ডের ভোটের ফলাফলের যা ট্রেন্ড তাতে মহাজোটই রয়েছে এগিয়ে৷
সোমবার সকালে গণনা শুরুর প্রথম দিকে লড়াইটা সমানে সমানে হলেও যতো সময় গড়িয়েছে, ততোই বিরোধী শিবিরের মুখের হাসি চওড়া হয়েছে৷ কেন এভাবে হারের পথে বিজেপি? আদিবাসী অধ্যূষিত এলাকার ভোটব্যাঙ্কে যে ধস নেমেছে তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন বিজেপির প্রদেশ নেতারা। আদিবাসীদের অভিযোগ, উন্নয়নের নামে জমি নীতির পরিবর্তন করে কার্যত জমির ওপর থেকে আদিবাসীদের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগই এই মুহূর্তে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের ক্ষেত্রে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মত বিজেপি নেতৃত্বের।
তবে হার ঘোষণার আগে হার মানতে রাজি নয় পদ্ম শিবির৷ যদিও কংগ্রেস-জেএমএম-আরজেডি জোটের নেতারা ইতিমধ্যেই জয়ের উৎসব শুরু করে দিয়েছেন৷ চলছে মিষ্টি বিতরণও৷ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ঘোষণাও করা হয়েছে, সরকার তারাই গড়ছেন৷ আর জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন হেমন্ত সোরেনই৷
ছেলে জয়ের পথে এগোচ্ছেন৷ স্বভাবতই খুশি বাবা শিবু সোরেনও৷ এক সাক্ষাতকারে জেএমএম সুপ্রিমো শিবু সোরেন জানিয়েছেন, ‘হেমন্তই মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন। ফলাফল আগেই জানতাম৷ জমি অধিগ্রহণ আইন দরকার ছিল না৷ বিজেপি যা করেছে, তারই ফল পাচ্ছে৷ জোট সরকার মানুষের জন্য কাজ করবে৷’