নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সারা দেশে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়। সেই ঝড় সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে মোদী সরকার। এই ঝড়ে বিপর্যস্ত রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম উত্তরপ্রদেশ। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি রাজ্যজুড়ে। পাশাপাশি আসাম, কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, দিল্লীতেও এই বিক্ষোভের ছায়া পড়েছে। এই বিক্ষোভ, উত্তেজনার মধ্যেই এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইন কার্যকরি না করার কৌশল বাতলে দিলেন প্রশান্ত কিশোর।
রবিবার টুইট করে দুটি ব্যাখা দেন প্রশান্ত কিশোর। এদিন টুইটে তিনি উল্লেখ করেন, এনআরসি-সিএএ বাতিল করার দুটি কার্যকরী উপায় আছে। প্রথমত, শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল, প্রতিবাদ, বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যেতে হবে। দ্বিতীয়ত, ১৬ টি রাজ্যে যেখানে অ-বিজেপি সরকার রয়েছে সেসব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা যদি এনআরসি ও সিএএ তাদের রাজ্যে লাগু করতে রাজি না হন। তাহলেই কেল্লাফতে হবে। এমনটাই আজ ট্যুইট করে ব্যাখা করেন এই বিশিষ্ট্য পলিটিক্যাল স্ট্র্যাটেজিস্ট তথা জনতা দল ইউনাটেড নেতা।
কয়েকদিন আগেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন যে বিহারে আপনি কি এনআরসি লাগু করবেন? জবাবে নীতীশ বলেন, কাহে কা এনআরসি? তাঁর উত্তরেই পরিষ্কার, যে তিনি তাঁর রাজ্যে এনআরসি লাগু হতে দেবেন না। যদিও সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে সমর্থন করেছিল জেডিইউ। এরপরই তৎপর হন প্রসান্ত কিশোর। বারবার তিনি নীতীশ কুমারকে বোঝাতে থাকেন এই আইন কার্যকর যাতে জেডিইউ না করে বিহারে।
গত সপ্তাহে নীতীশের সঙ্গে এবিষয়ে বিষদে আলোচনা করেন প্রসান্ত কিশোর। এবং তারপরেই তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নীতীশ তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন যে, তিনি এনআরসি বা সিএএ এরাজ্যে লাগু হতে দেবেন না। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে প্রশান্ত জানিয়েছেন, যে সিএএ-এনআরিস বিষ্যমমূলক, এবং বিহারে এটা লাগু হওয়ার কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। নীতীশ কুমার তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রশান্ত।