নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে ধুন্ধুমার চলছে উত্তরপ্রদেশে। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, গত কদিনের বিক্ষোভ ও হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে উত্তরপ্রদেশের রামপুর।
এহেন অবস্থায় উত্তরপ্রদেশের উপদ্রুত এলাকায় আহত ও নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে তৃণমূলের ৪ জন নেতা-নেত্রীকে পাঠাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের নেতৃত্বে দেবেন তৃণমূলের প্রবীণ নেতা তথা ব্যারাকপুর লোকসভার প্রাক্তন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। তিনি ছাড়া প্রতিনিধি দলে থাকবেন ৩ সাংসদ – প্রতিমা মণ্ডল, আবির বিশ্বাস ও নাদিমুল হক।
তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে, এই চার জন মানবিক মিশন নিয়ে উত্তরপ্রদেশে যাচ্ছেন। রবিবার সকালে তাঁরা লখনউ পৌঁছবেন। উত্তরপ্রদেশে পুলিশের গুলিতে যাঁরা মারা গিয়েছেন বা আহত হয়েছেন তাঁদের পরিবারের সঙ্গে তাঁরা দেখা করবেন।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশ অবশ্য শনিবার দাবি করেছে, কারও মৃত্যু পুলিশের গুলিতে হয়নি। অন্তত পুলিশ কোনও গুলি ছোড়েনি। এখন প্রশ্ন হল তৃণমূলের এই প্রতিনিধিদলকে কি যোগী আদিত্যনাথ সরকার উপদ্রুত এলাকায় যেতে দেবেন?
এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে সন্দেহ দানা বাঁধছে। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সেই কারণে হয়তো তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে আটকাতে পারে পুলিশ, এমনটাই সূত্রের খবর।