যশপ্রীত বুমরার ফিটনেস পরীক্ষা নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কে মুখ খুললেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বলে দিলেন, এ ব্যাপারে তিনি কথা বলবেন প্রাক্তন সতীর্থ রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে। উল্লেখ্য দ্রাবিড় এখন জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রধান। সূত্রের খবর, বুমরার ফিটনেস পরীক্ষা জাতীয় অ্যাকাডেমিতে করতে চাননি রাহুল এবং অ্যাকাডেমির পরিচালকেরা। তার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, বুমরা চোট পাওয়ার পরে রিহ্যাব করার জন্য জাতীয় অ্যাকাডেমিতে না গিয়ে ব্যক্তিগত ভাবে অন্য ফিজিয়োর কাছে গিয়েছিলেন। তাতে মোটেও প্রসন্ন নন রাহুল এবং এনসিএ কর্তারা।
শুক্রবার সকালে বাইপাসের বিলাসবহুল হোটেলে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে সৌরভ বললেন, ‘বুমরার ব্যাপারটা শুনেছি। এটা নিয়ে আমি রাহুলের সঙ্গে কথা বলব। তবে এটা ঠিক, যে কোনও ক্রিকেটারকেই তার ফিটনেস প্রসেস এনসিএ-র মাধ্যমেই করতে হবে। এটা বোর্ডের নিয়ম।’ আসলে নিজেদের রিহ্যাব বেঙ্গালুরুর এনসিএ-তে এসে করতে চাননি বুমরা ও হার্দিক পান্ডিয়া। এই নিয়েও বিতর্ক হয়।
সৌরভ অবশ্য দুইয়ের মধ্যে ব্যালান্স করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ দিন হোটেলের লবিতে দাঁড়িয়ে বলতে দ্বিধা করেননি, ‘ক্রিকেটারদের দিকটাও দেখতে হবে। ওরা সারা বছর বাড়ি ছেড়ে থাকে। সারা বিশ্বে খেলে বেড়ায়। বিশ্রামের সময় যাতে বাড়িতে থাকার সুযোগ পায়, সেটাও দেখব আমরা। ভবিষ্যতে এমনও হতে পারে, রিহ্যাবের সময় সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারের শহরে গিয়ে এনসিএ-র কেউ ট্রেনিং করাবেন।’ আবার বন্ধু রাহুল দ্রাবিড়ের উপরও অগাধ আস্থা রয়েছে। সৌরভের কথাতেই তা স্পষ্ট, ‘রাহুলের সঙ্গে কথা তো বলবই, সেই সঙ্গে আমরা দেখব যে, কী ভাবে ওর ভূমিকা আরও বাড়ানো যায়।’
বুমরা চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি ভারতীয় দলের নেটে বোলিং করেছেন এবং উপস্থিত সকলের মনে হয়েছে, প্রায় সম্পূর্ণ ফিটই হয়ে গিয়েছেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, জাতীয় অ্যাকাডেমিতে রিহ্যাব করার ব্যাপারে খুব একটা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন না বুমরা। সেই কারণেই ব্যক্তিগত স্তরে যোগাযোগ করে অন্য ফিজিয়োর কাছে যান। যে ফিজিয়োর কাছে বুমরা গিয়েছিলেন, তিনি আবার আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের সঙ্গে যুক্ত। যে ফ্র্যাঞ্চাইজিতে গত বছর মেন্টর হিসেবে ছিলেন সৌরভ। আবার রাহুল দ্রাবিড় পরিচালিত এনসিএ কর্তারা ভিতরে ভিতরে ফুঁসে উঠে বলছেন, ‘‘আমরা তো জানিই না বুমরার চোট কী ধরনের। আমাদের কাছে আসেইনি ও। এখন ফিট সার্টিফিকেট কী করে দেব?’’