আইপিএল ট্রফি তাঁর কাছে এখনও অধরা রয়ে গিয়েছে। তবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর অধিনায়ক বিরাট কোহলি হতাশ হতে নারাজ। নতুন দল নিয়ে আগামী বছরের আইপিএলে তিনি আগ্রাসী এবং সাহসী ক্রিকেট উপহার দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন ভক্তদের।
ওয়ান ডে সিরিজের প্রথম দু’ম্যাচে ডাহা ব্যর্থ কোহলি। তবু নিজের ফর্ম নিয়ে তাঁকে বিন্দুমাত্র চিন্তিত বলে মনে হল না। বরং বেশ খোশমেজাজেই দেখা গেল ‘ভিকে’কে। যার অন্যতম কারণ হতে পারে বৃহস্পতিবারের আইপিএল নিলামে নিজের ফ্র্যাঞ্চাইজি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর সাফল্য। বিশেষ করে ক্রিস মরিস, অ্যারন ফিনচ, কেন রিচার্ডসন ও ডেল স্টেইনের মতো চার তারকা ক্রিকেটারকে নিজের টিমে পাওয়াটা দারুণ স্বস্তি দিয়েছে আরসিবি অধিনায়ককে।
এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কোহলি বলেন, ‘আমাদের দলে এবার বেশ কয়েকজন দক্ষ ক্রিকেটারকে পাব। বৃহস্পতিবারের নিলামে যে আটজনকে আমরা নিয়েছি, তারা প্রত্যেকেই দারুণ কার্যকরী খেলোয়াড়। ওদের সঙ্গে নতুন মরশুম শুরু করার জন্য আমি উদগ্রীব। আশা করি, গত কয়েক মরশুমের ব্যর্থতা কাটিয়ে ২০২০ আইপিএলে আমরা ভালো ক্রিকেট উপহার দেব। আমাদের দলের ভারসাম্যও এবার যথেষ্ট ভালো। এই দল নিয়ে আমি খুশি।’
সেখানেই না থেমে আরসিবি অধিনায়ক আরও বলেছেন, ‘‘আগামী বছর অনেক ভাল ও আগ্রাসী ক্রিকেট উপহার দেওয়ার বিষয়ে আমি আশাবাদী। দল যাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয় এবং তার মধ্যে ভারসাম্য থাকে, সেই বিষয় নিয়ে এ বার নিলামের আগে বিশদে আলোচনা হয়েছে। তার পরেই ক্রিকেটারদের নেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি, আগামী বছর আইপিএলে আমাদের দলের শুরুটা অবশ্যই অনেক বেশি ইতিবাচক হবে।’’
দল নিয়ে সন্তুষ্ট আরসিবি ক্রিকেট অপারেশনস ম্যানেজার মাইক হেসন। বলেছেন, ‘‘বাজেটের মধ্যে থেকে বাছাই করে ক্রিকেটারদের নির্বাচিত করেছি। সেটাই আমাদের কাছে অনেক বেশি তৃপ্তিদায়ক।’’ নিলামে দু’বার অবিক্রিত হওয়ারর পরেও ডেল স্টেনকে রেখে দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও হেসন বলেছেন, ‘‘স্টেন বরাবরই আমাদের পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবে ছিল। তবে শুরুতে ওকে নিলামে তুললে দামটা হয়তো বেড়েও যেতে পারত। ফলে আমরা অপেক্ষা করেছি।’’ যোগ করেন, ‘‘ইসুরু উদানাকে নিয়েও ধৈর্য দেখিয়েছি। এই দুজনকে নেওয়ার বিষয়ে আমার সঙ্গে কোহালির দীর্ঘ টেক্সট মেসেজ আদানপ্রদান হয়েছে। তার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।’’