নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে উত্তাল দেশ। প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়েছে রাজ্যে বিভিন্ন প্রান্তে। শুক্রবার থেকে জেলায় জেলায় সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ চলছে। একাধিক স্থানে পথ অবরোধ, ট্রেন অবরোধ। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। কিছু কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত বিক্ষোভের ছবি দেখা যাচ্ছে। অশান্তি এড়াতে ইন্টারনেট বন্ধেরও নির্দেশ ছিল বিভিন্ন এলাকায়। এবার কলকাতায় বন্ধ ইন্টারনেট। কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় অলিখিতভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট। যার ফলে প্রভাব পড়েছে অ্যাপ ক্যাব পরিষেবায়। অ্যাপ ক্যাব চালকদের অভিযোগ, ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় অ্যাপ কানেক্ট করতে পারছেন না তাঁরা।
গত সপ্তাহে শুক্রবার জুম্মার নমাজের পর উলুবেড়িয়ায় ছড়িয়েছিল হিংসা। সপ্তাহখানেক পর তাণ্ডব কিছুটা থামলেও নতুন করে উত্তেজনা ছড়ানোর শঙ্কায় বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারনেট বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রায় ১ সপ্তাহ ধরে বন্ধ ৬ জেলায় ইন্টারনেট। কলকাতায় হিংসাত্মক আন্দোলন হলেও সেখানে এতদিন ইন্টারনেট পরিষেবায় কোনও প্রভাব পড়েনি। কিন্তু শুক্রবার আর ঝুঁকি নিল না প্রশাসন।
নবান্ন থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো না হলেও শুক্রবার বেলা বাড়তেই কলকাতার বিভিন্ন জায়গা থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের খবর আসে। পার্ক সার্কাস, বিশ্ব বাংলা সরণির পাশের বিস্তীর্ণ এলাকা, কামালগাজি, বিজয়গড়, খিদিরপুর, মোমিনপুরে এদিন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ছিল। ইন্টারনেট বন্ধের খবর মিলেছে গড়িয়া থেকেও।
ওদিকে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় প্রভাব পড়েছে অন্যান্য একাধিক ক্ষেত্রে। বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্ধ হয়েছে গিয়েছে অ্যাপ ক্যাব পরিষেবা। বন্ধ ক্যুরিয়ার ডেলিভারিও। অ্যাপ কানেক্ট না হওয়ায় পরিষেবা বন্ধ রাখতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন চালকরা।