সিএএ-এর প্রতিবাদে বাংলা জুড়ে বিক্ষোভের নামে যেই হিংসা-অরাজকতা চলছে, তার প্রেক্ষিতে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। অশান্তি পাকানোর অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ৯৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দায়ের করা হয়েছে ৬৪টি এফআইআর।
এই মর্মে এদিন কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণনের ডিভিশন বেঞ্চে রিপোর্ট পেশ করে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানিয়েছেন, বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তা নিয়ন্ত্রণে যথাসম্ভব ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব দিকে সতর্ক নজর রাখা হয়েছে।
মুর্শিদাবাদ, হাওড়া সহ ছয় জেলার উত্তেজনাপ্রবণ অংশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার পাশাপাশি ১৩ তারিখের পর থেকে রাজ্যের তরফে সমস্ত সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। তবে আপাতত পরিস্থিতি রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। সিএএ বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে গোটা রাজ্যে যে পরিস্থিতি, তার প্রেক্ষিতে হাই কোর্টে মোট আটটি মামলা জড়ো হয়েছে। যার একটির জরুরিভিত্তিতে শুনানির পর রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিন সেই রিপোর্টে রাজ্য আরও উল্লেখ করেছে, গোটা রাজ্যে মোট ৭১৫টি রেল স্টেশন রয়েছে। যার মধ্যে মাত্র ৬ থেকে ৭টি রেল স্টেশনের পরিস্থিতি একেবারে আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। পরিষেবা পুরোপুরি ব্যাহত হয়। এজি বলেন, ‘রেল ও রেল স্টেশনগুলির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে রেল সুরক্ষা বাহিনী। ভাঙচুর ও বিক্ষোভের সময় রেলের তরফে রাজ্যের কাছে যে সংখ্যক বাহিনী চাওয়া হয়েছিল, রাজ্য তাঁদের সেই সংখ্যক বাহিনী দিয়ে সাহায্য করেছে।’