মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করেছেন যে, বাংলায় হবে না এনআরসি। এমনকি মানা হবে না সিএএ। মুখ্যমন্ত্রীর সেই বার্তা নিয়ে এবার ভাঙড়ে পথে নামলেন তৃণমূলের নেতারা। আশ্বস্ত করলেন গ্রামের সাধারণ মানুষকে। পাশে থাকার বার্তা দিলেন আতঙ্কিতদের। এনআরসি বিরোধিতায় এদিন ভাঙড়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী এবং ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা নান্নু হোসেনের হাত ধরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন বিজেপি নেতৃত্ব থেকে শুরু করে শতাধিক বিজেপি কর্মী।
বৃহস্পতিবার ভাঙড়ের কাঁঠালিয়াতে এনআরসি বিরোধিতায় তৃণমূল কংগ্রেস এবং তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ডাকে যৌথ উদ্যোগে বিরাট জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপচে পড়া ভিড় দেখে আপ্লুত দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী এবং জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সওকত মোল্লা। এদিন জনসভা শুরুর আগে কাঁঠালিয়া স্কুল থেকে এক বিরাট মিছিলে নেতৃত্ব দিয়ে সভাস্থলে উপস্থিত হন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদ সদস্য নান্নু হোসেন। সিএএ, এনআরসি’র বিরুদ্ধে বার্তা দিতে সেই মিছিলে বহু মানুষ পা মেলান। এদিনের সভা থেকে নান্নু হোসেন বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা এই আইনের বিরোধিতা করব। কেন্দ্রীয় সরকার বেশি বাড়াবাড়ি করলে ভাঙড় থেকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হবে।’
কাঁঠালিয়াতে ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা নান্নু হোসেন, আব্দুর রহিমদের নেতৃত্বে তৃণমূলের এই বিরাট জনসভায় হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি দেখে উজ্জীবিত জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, নেত্রী তো বলেইছেন এ রাজ্যে সিএএ, এনআরসি হবে না। আমরা সবাই মিলে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে তা রুখে দেব।