গত সপ্তাহেই সংসদের দুই কক্ষে পাশ হয়ে গিয়েছিল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল(ক্যাব)। আর তারপর বিলে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর তা এখন আইনে রূপান্তরিত হয়েছে। তবে এই ‘কালো আইন’-এর বিরুদ্ধে এখন প্রতিবাদের আগুন জ্বলছে আসাম, ত্রিপুরা-সহ গোটা দেশেই। তাঁর আঁচ পড়েছে বাংলাতেও। ক্যাব পাস করানোর বিরুদ্ধে এবার পথে নামল ‘দ্য গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন’। গতকাল কোচবিহারে ব্যাপক জমায়েত করে জেলাশাসকের কাছে ৩ দফা দাবিতে স্মারকলিপি জমা করলেন তাঁরা।
গ্রেটারের বক্তব্য, কেন্দ্রের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ভূমিপুত্র বিরোধী এবং রাজবিংশী বিরোধী। একইসুরে কথা বলছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার ‘ট্রান্সফারড এরিয়া সূর্যাপুর অর্গানাইজেশন'(টাসো)। তারাও এনআরসির তীব্র বিরোধী। আবার, বৃহস্পতিবার থেকেই পাহাড়ে এনআরসির বিরুদ্ধে পোস্টারিং শুরু করবে মোর্চা৷ শুক্রবার গোটা পাহাড় জুড়ে এনআরসি বিরোধী মিছিলে পথে নামার কথা বিনয় তামাংদের। এছাড়া উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন আঞ্চলিক দলগুলি কেন্দ্রের এনআরসি বা সিএএকে সমর্থন করছে না। তাঁরা প্রায় সকলেই এই সিদ্ধান্তের বিরোধী।
এই বিরোধিতা শক্তিশালী করতে ইসলামপুরের টাসো জমিয়তে উলেমায় হিন্দ, এনপিএম, নস্যশেখ উন্নয়ন পরিষদ, সামাজিক ন্যায় মঞ্চগুলির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে অনেক আগে থেকেই মিছিল, সভা করে চলেছে। টাসো-র তরফে পামরুল আলম জানান, ‘ভারতের সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতাকে অস্বীকার করে সিএবি পাশ করা হয়েছে৷ এই আইনের মধ্যে লুকিয়ে আছে বিজেপি ও আরএসএসের মূল উদ্দেশ্য।’ আর গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা বংশীবদন বর্মন বলেন, ‘ক্যাব করে দেশের মানুষকে বিপদের দিকে ঠেলে দিয়েছে মোদী সরকার। আমরা কোনও মতেই তা মানব না।’