২০১৭ সালের আগস্টে গোরখপুরের বিআরডি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে ৬০ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হলেও তাঁকে শেষমেশ ক্লিনচিট দিয়েছিল তদন্তকারী কমিটি। কিন্তু তদন্ত রিপোর্ট খারিজ করে ‘নির্দোষ’ চিকিৎসক কাফিল খানের বিরুদ্ধে ফের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল যোগী সরকার। সেসময়ই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে, প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে গেরুয়া শিবির। এবার আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ‘খেপিয়ে তোলার’ অভিযোগে আটক করা হল ডাঃ কাফিল খানকে। উসকানিমূলক বক্তৃতার দায়ে আলিগড়ে তাঁকে আটক করা হলেও, তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে শত্রুতার প্ররোচনা দেওয়ায় মামলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৩ ডিসেম্বর আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বক্তৃতা দেন কাফিল। সেখানে নাম না করেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘মোটা ভাই (গুজরাতি সম্ভাষণ) সবাইকে হিন্দু বা মুসলিম হতে শেখাচ্ছেন। মানুষ হতে নয়। তাঁর সংবিধানে আস্থাই নেই। সঙ্ঘে বিশ্বাস করেন। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন মুসলিমদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক বানিয়ে ছাড়বে। আর তারপর তাঁদের হেনস্থা আরও বাড়াবে নাগরিকপঞ্জী।’ তাঁর সাফ কথা, ‘এটা আমাদের অস্তিত্বের লড়াই। আমাদের লড়তেই হবে।’ এখানেই শেষ নয়। তোপ দেগে কাফিল বলেন, ‘সঙ্ঘ শিখিয়েছে কেউ দাড়ি রাখলেই সে সন্ত্রাসবাদী। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মারফতেই সরকার জানিয়ে দিল, ভারত আমাদের দেশ নয়।’