নাগরিকত্ব দিয়ে কী হবে, যদি খেতেই না দিতে পারে দেশ? এই প্রশ্নই ঘুরছে সাধারণ মানুষের মনে। মোদী সরকার কীভাবে সেই মানুষদের পেটে দুটো ভাত দিতে পারবে, সেটাই তো এখনও পরিস্কার নয়। বাজারের দিকে তাকালেই সেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে। পেঁয়াজের দাম বাড়তে বাড়তে এখন প্রায় ১৪০ টাকাতে পৌঁছে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এর মাঝেই সুফল বাংলার স্টল থেকে খুব কম দামে পেঁয়াজ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাতে রাজ্যবাসী স্বস্তি পেলেও দেশবাসীর কপালে এখনও পেঁয়াজের দাম নিয়ে চিন্তার ভাঁজ রয়েছেই। পেঁয়াজের দামে রক্ষে নেই এবার সুগ্রীব হল আলুর দাম!
কলকাতার বাজারে উর্ধ্বমুখী হতে শুরু করল আলুর দাম। কুড়ির কোঠায় দাম পৌঁছে গিয়েছিল অনেকদিন আগেই। এবার চন্দ্রমুখী আলুর দর পৌঁছে গেল ৩০–এ। কলকাতার কোনও কোনও বাজারে চন্দ্রমুখী আলু ৩০ ছুঁয়েছে। অন্যদিকে, জ্যোতি আলুর দর পৌঁছে গিয়েছে ২৬–এ।
সর্বকালীন রেকর্ড ভেঙে আলুর (জ্যোতি) পাইকারি দরে বস্তা পিছু (৫০ কিলো) এক হাজার টাকা অর্থাৎ কিলো প্রতি ২০টাকা পার হয়ে গেল রাজ্যে। এর ফলে খুচরো বাজরে জ্যোতি আলুর দাম ২৪-২৫ টাকা গিয়ে পৌঁছবে। পেঁয়াজের পর আলুর এই দাম বৃদ্ধিতে দিশাহারা মধ্যবিত্ত। আগামী কয়েকদিনে দাম কমার সম্ভবনা কম, উল্টে আরও বাড়তে পারে বলে মত আলু ব্যবসায়ীদের।
ভারতীয় অর্থনীতির অব্যবস্থা নিয়ে অনেকেই দিনের পর দিন সরব হয়েছেন। কিন্তু কুমীরের ছানা দেখানোর মতো নির্মলা সীতারমন বলেই গেছেন যে এই অব্যবস্থা কাটবে। হাল ফেরেনি। আজেবাজে যুক্তি দিয়ে কয়েকদিন দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু তাতেও তো মানুষের দুর্দশা কাটবে না। বরং অনেক বেশি করে মানুষ চাপে পড়েছেন। একদিকে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি, ব্যবসায়ীক মন্দা, চাকরি ক্ষেত্রের সংকোচন, অর্থনীতি ভেঙে পড়ার দশা, আর অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের আকাশছোঁয়া মূল্য। সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অকর্মণ্যতায় বিতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছেন দেশের সাধারণ মানু্ষ।