গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি তথা সেনা প্রধান পারভেজ মুশারফের মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেছে সে দেশের বিশেষ আদালত। বড় রকমের রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে তাঁর ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে আদালত। মুশারফ এখন দেশে নেই। ৭৬ বছর বয়সী প্রাক্তন একনায়ক চিকিৎসার জন্য গিয়েছেন দুবাইয়ে। বৃহস্পতিবার প্রশ্ন ওঠে, ফাঁসি দেওয়ার আগেই যদি মুশারফের মৃত্যু হয়, তা হলে কী হবে? তখনই কোর্ট নির্দেশ দেয়, সেক্ষেত্রে তাঁর মৃতদেহটি টেনে আনতে হবে ইসলামাবাদের ডি চৌকে। সেখানে তিনদিন ধরে ঝুলিয়ে রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মুশারফ ক্ষমতায় আসেন। ২০০৭ সালে তিনি সংবিধানকে ‘সাসপেন্ড’ করে জরুরি অবস্থা জারি করেন। তার বিরুদ্ধে নানা মহল থেকে প্রতিবাদ হয়। ২০০৮ সালে ইমপিচমেন্টের ভয়ে মুশারফ নিজেই ক্ষমতা ছেড়ে সরে দাঁড়ান। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে মুশারফের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা চালু করেন নওয়াজ শরিফ। সেই মামলায় গত মঙ্গলবার প্রাক্তন সেনাপ্রধানকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।