বুধবার বিকেলে বর্ধমান শহরে বইমেলার উদ্বোধন করতে এসেছিলেন রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রের মোদী সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন সিদিকুল্লা। একই সঙ্গে বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষেরও তীব্র নিন্দা করেন তিনি। তৃণমূল মন্ত্রী বলেন, “ একজন সাংসদ রাখাল-বাগালের মত কথা বললে কি ভালো লাগে?”
সিদিকুল্লা আরও বলেন, “দিলীপের পূর্ব–পশ্চিম জ্ঞান নেই। নিজে সাংসদ হয়েছেন। তার পরও রাখাল–বাগালের মতো কথা বললে কি আর ভাল লাগে? উনি তো জানেনই না কোথায় কোন কথাটা বলতে হয়, কোন কথাটা বলা অনুচিত? বিভিন্ন সময়ে এমন অনেক কথা বলেছেন যা অত্যন্ত অপ্রাসঙ্গিক”।
সিএএ নিয়ে অশান্তির প্রেক্ষিতে তাঁর দাবি, ওই লোকেরা গোলমাল পাকিয়ে কেন্দ্রকে শক্তি জোগাতে চাইছে। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চাইছি। কিন্তু, শান্তিপূর্ণ না থাকার পিছনে কিছু লোক আছে। গোলমাল পাকিয়ে কেন্দ্রকে শক্তি জোগাতে চাইছে। যাতে এখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা যায়”। তিনি বলেন, যাঁরা খাঁটি মুসলিম তাঁরা কোনও গণ্ডগোল করবেন না। টুপি তো বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। টুপি পরলে কী করে বুঝবে, কে মুসলমান, আর কে মুসলমান নয়?
তিনি এনআরসি প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিজেপি কী যুক্তিতে এনআরসি চালু করতে চাইছে? সারা ভারতে বিজেপি ভোট পেয়েছে মাত্র ৩৭ শতাংশ। ভোট কমেছে। মহারাষ্ট্রও দেখিয়ে দিয়েছে বিজেপির বাইরেও সরকার গঠন করা যায়। তবে সারা ভারত জুড়ে এনআরসির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হচ্ছে। এ ব্যাপারে সাতটি রাজ্য প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছে। বিশেষ করে দিল্লীতে ছাত্রছাত্রীদের ওপরে পুলিশ যে আচরণ করেছে, তা ঠিক নয়। অন্যায় হয়েছে।’
উদ্বোধনী ভাষণে মন্ত্রী বলেন, বই মানবজীবনের অপরিহার্য অঙ্গ। এবার এই বইমেলার থিম, ‘ভালোবাসার মেলবন্ধনে গড়ে উঠুক বিশ্ব’। অভিভাবকদের বলব, আপনারা আপনাদের ছেলে-মেয়েদের উৎসব, ভ্রমণ প্রভৃতিতে টাকা দেন। বইমেলায় বই কেনার জনও তাঁদের হাতে টাকা দিন। বলুন, বইমেলায় গিয়ে বই কিনতে। আগে প্রবেশমূল্য লাগত। আমরা সেই প্রবেশমূল্য তুলে দিয়েছি। এদিন তিনি গ্রন্থাগার দফতরের একঝাঁক উন্নয়নও তুলে ধরেন।