গত রবিবার জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের তাণ্ডবে বাঁ চোখ খুইয়েছেন এক ছাত্র। বছর ২৬ এর মিনহাজউদ্দিন আইনের ছাত্র। রবিবার জামিয়ার গ্রন্থাগারে পুলিশের লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হন। পুলিশের লাঠির আঘাতে তার হাতের আঙুল ভেঙে যায়। আঘাত লাগে চোখেও। প্রাণভয়ে তিনি বাথরুমে গিয়ে লুকোনোর চেষ্টা করেন।
সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, ‘ওইদিন গ্রন্থাগারের এমফিল বিভাগে পড়াশোনা করছিলাম আমি। তখনই ছাত্রছাত্রীদের উপরে আক্রমণ করে ২০–২৫ জন পুলিশ। ওরা ঝাঁপিয়ে পড়ে সবাইকে লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করল। আমাকেও মারছিল। আমার হাতে মেরে আঙুল ভেঙে দিয়েছে। আর আমার চোখেও মেরেছে। আমি পালাতে চেষ্টা করছিলাম। গিয়ে শৌচাগারে লুকিয়ে পড়ি। আর ওখানেই রক্তাক্ত অবস্থায় জ্ঞান হারাই।’
শৌচাগারে লুটিয়ে থাকা রক্তাক্ত অচেতন মিনহাজউদ্দিনকে হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর বন্ধুরা। সেখান থেকে এইমসের ট্রমা বিভাগে। সেখান থেকে তারপর রাজেন্দ্রপ্রসাদ আই ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা হয়।
প্রসঙ্গত, রবিবারের জামিয়া কাণ্ডে পুলিশের বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের অভিযোগ, পুলিশেরা মহিলাদের হোস্টেলেও ঢুকে পড়েছিল। সেখানেও তারা হামলা চালায়।