রাজ্যের তিন বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনে পদ্মশিবিরের শোচনীয়ভাবে পর্যুদস্ত হওয়ার পরই টুইটারে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘বিজেপির শুদ্ধিকরণ প্রয়োজন। শুধু ভোট ব্যাঙ্ক বা রাজনৈতিক জয়ধ্বজা ওড়ানোর জন্য নয়, বাংলার প্রাথমিক পরিকাঠামো এবং উন্নয়নের জন্যই কাজ কাজ করা উচিত বিজেপির। এখানে ভাঁওতাবাজি চলবে না।’ আর এবার ফের দলের রাজ্য নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে তোপ দাগলেন বঙ্গ বিজেপির প্রথম সারির নেতা চন্দ্র বসু।
মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের ১১ জন সহ-সভাপতি। কিন্তু সবাইকে কাজ করতে দেওয়া হয় না। রাজ্য কমিটিতে গুটিকয়েক মানুষকে জায়গা দেওয়া হয়েছে। বাকি যাঁরা রয়েছেন তাঁরা মিটিং-মিছিলে যোগ দেওয়ার জন্য। আমি নেতাজির পরিবার থেকে এসেছি। এটা মাইনাস ফ্যাক্টর। ওঁরা মনে করেন যে, যদি আমাকে জায়গা দেওয়া হয়, তা হলে আমি বড় নেতা হয়ে যাব। এখানে ভিন্ন ভাবে রাজনীতি করতে হয়। কারণ বাংলার মানুষের রাজনৈতিক চেতনা রয়েছে। সেই নেতৃত্বে আমার মনে হয় কিছু ত্রুটি রয়েছে।’
নেতাজির ভ্রাতুষ্পুত্র আরও বলেন, ‘আমরা লোকসভা নির্বাচনে ৪১ শতাংশ ভোট পেয়েছি। কিন্তু যদি এখানে সরকার গঠন করতে হয়, তাহলে আমাদের আরও ৭ শতাংশ ভোট বাড়াতে হবে। মানুষ আমাদের একটু আলাদা চোখে না দেখলে আমরা সেই ‘ক্রিটিক্যাল কেয়ার ভোট’ কখনই পাব না। কিছু বুদ্ধিজীবির আদর্শ হয়ত আমাদের সঙ্গে মেলে না। তাই বলে তাঁদের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করা কোনও রাজনৈতিক নেতার পক্ষে শোভন নয়।’ এই মন্তব্যে যে দিলীপ ঘোষদেরই বিঁধেছেন চন্দ্র বসু, তা বলাই বাহুল্য। স্বাভাবিকভাবেই এর ফলে ফের প্রকাশ্যে চলে এল গেরুয়া শিবিরের ভিতরকার অসন্তোষ।