নাগরিকত্ব (সংশোধিত) আইনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ। আসাম থেকে প্রতিবাদের স্ফুলিঙ্গ আগুনের আকারে ছড়িয়ে পড়েছে ভারতের উত্তর থেকে দক্ষিণে। সেই অশান্ত পরিবেশের মধ্যেই আইনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ তরুণ গগৈ। কিন্তু শুধুই মামলাকারী হিসাবে নয়, এবার আইনজীবী হিসাবে সুপ্রিম কোর্টে মামলা লড়তে গেলেন আসামের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার তিন দশক পর ফের আইনজীবীর চিরাচরিত কালো গাউন পরে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে পা রাখলেন গগৈ।
পেশায় আইনজীবী গগৈ এদিন আদালতে কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমকে সহায়তা করেন। শেষবার ১৯৮৩ সালে তিনি কোনও মামলা লড়েছিলেন আইনজীবী হিসাবে। বাবার এই আইনজীবী হিসাবে প্রত্যাবর্তনে যারপরনাই খুশি কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ। তিনি এদিন টুইট করেন, ‘আমার বাবা তথা আসামের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ আইনজীবীর পোশাকে সুপ্রিম কোর্টে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেন।’
এদিকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকরে আপাতত স্থগিতাদেশ নয় বলে বুধবার জানিয়েছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ। তবে বিতর্কিত আইনটির বিরুদ্ধে পিটিশন নিয়ে আগামী জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রকে জবাব দেওয়ার জন্য নোটিস পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের আনা বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রায় ৬০টি পিটিশন জমা পড়েছে শীর্ষ আদালতে। সেই মর্মে আজ শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের বেঞ্চে। তিন সদস্যের এই বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি বোবদে-সহ রয়েছেন বিচারপতি সূর্যকান্ত ও বিচারপতি বি আর গাভাই।
এদিন, শুনানি শেষে আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, আপাতত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকরী করা নিয়ে কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না। তবে আগামী জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রকে এই বিষয়ে জবাব দিতে হবে। তারপর ২২ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানি হবে। সেদিন ৬০টি পিটিশনের একযোগে শুনানি হবে বলেও জানিয়েছে আদালত।