আগামী ৫ বছরের মধ্যে ভারতের অর্থনীতিকে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার বুলি আউড়িয়ে দেশবাসীকে যে স্বপ্নের ফানুসে চড়িয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, এক বছর পেরনোর আগেই তা ফুটো হয়ে গিয়েছে। দেশে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধির হার নেমে গিয়েছে ৪.৫ শতাংশে। যা গত ৬ বছরে সর্বনিম্ন। আর এবার জানা গেল, নভেম্বর মাসে দেশের খাদ্যদ্রব্যের মুদ্রাস্ফীতির হার গত ৭১ মাসে সর্বাধিক। যা পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির মুদ্রাস্ফীতিকে বাড়িয়ে তো দিয়েছেই, সেইসঙ্গে গত তিনমাসের রেকর্ডকে ভাঙতেও সহায়তা করেছে।
সোমবার কর্মার্স ও ইন্ডাস্ট্রি মন্ত্রক এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশিত করে জানিয়েছে যে পাইকারি মূল্য সূচক দ্বারা পরিমাপিত মূল্যস্ফীতি নভেম্বর মাসে বার্ষিক ০.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল, যা আগের মাসের চেয়ে ০.২ শতাংশ বেশি, তবে গত বছরের চেয়ে এই হার রেকর্ডকৃত ৪.৫ শতাংশ এর চেয়ে কম ছিল। নভেম্বরে এই মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসাবে বলা হয়েছে খাদ্যদ্রব্যের উচ্চমূল্য। যা বার্ষিক ১১.১ শতাংশ বেড়েছে নভেম্বরে। গতমাসে যা ছিল ৯.৮ শতাংশ।
আগের তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, খুচরো মুদ্রাস্ফীতির আওতায় থাকা খাদ্যদ্রব্যের মুদ্রাস্ফীতি নভেম্বরে দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে, যা গত ছ’বছরে হয়নি। যার ফলে শাক–সবজির দাম বেড়ে যাচ্ছে। এ বছর অসমের বৃষ্টিতে পেঁয়াজের ক্ষতি হওয়ায় নভেম্বরে পেঁয়াজ মহার্ঘ হয়ে যায়। নভেম্বরে পেঁয়াজের মূল্যের মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে গিয়েছিল ১৭২.২৩ শতাংশ, যা আগের মাসেই অক্টোবরেই ছিল ১১৯.৮ শতাংশ। একই হাল সবজিরও। নভেম্বরে সবজির মূল্য বেড়ে হয়েছে বার্ষিক ৪৫.৩ শতাংশ, অক্টোবরেই যা ছিল ৩৮.৯১ শতাংশ। উৎপাদিত পণ্যের মুদ্রাস্ফীতি তৃতীয় মাসে (–) ০.৮ শতাংশ হারে হ্রাস পেয়েছে।