সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং নাগরিকপঞ্জী প্রত্যাহারের দাবিতে এদিন হাওড়া থেকে রাজপথে নামলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার ও মঙ্গলবার গত ২দিন কলকাতায় বিশাল মিছিলের পর বুধবার দুপুরে হাওড়া ময়দানে মমতার মিছিলে ছিল জনজোয়ার। স্বতঃস্ফূর্ত গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এদিন মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
এদিন মিছিলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিজেপিকে চরম কটাক্ষ করেন তিনি। সিএএ ও এনআরসি নিয়ে তীব্র বিরোধিতা করে মমতা বলেন, ‘বুলেট দিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে আটকানো যায় না। এক হাজার বুলেটের যা দাম, দশটা মানুষ পথে নেমে কথা বললে তার দাম বেশি। আমরা হিংসা চাই না বলে পথে নেমেছি। শান্তির স্বার্থে এই আন্দোলন সংগঠিত করার চেষ্টা চলছে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষ আমার সঙ্গে হাঁটছে। সকলকে ধন্যবাদ।’ এদিন হাওড়া ময়দান শুরু হয়ে ব্রেবোর্ন রোড, টি-বোর্ড হয়ে মিছিলের গন্তব্য ছিল ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিং। গত দুদিনের মতো এদিনও শহর দেখল স্বতঃস্ফূর্ত নাগরিক মিছিল।
এদিনের মিছিলে হাওড়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী সমর্থক এবং সাধারণ মানুষ অংশ নেন। হাওড়া পুরসভা, মহাত্মা গান্ধী রোড, জেলাশাসকের বাংলো সংলগ্ন ডি এম স্লোপ, ঋষি বঙ্কিম সেতু, ২৭এ পয়েন্ট, রবীন্দ্র সেতু, ব্রেবোর্ন রোড, টি বোর্ড, রবীন্দ্র সরণি, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট হয়ে মিছিল শেষ হয় ধর্মতলায় ডোরিনা ক্রসিংয়ে। হাওড়া থেকে এই মিছিলে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, লক্ষ্মী রতন শুক্লা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ইন্দ্রনীল সেন ছাড়াও সাংসদ, বিধায়ক, পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর, জিলা পরিষদের সভাধিপতি-সহ জেলার প্রথম সারির সব নেতৃবৃন্দ যোগ দেন। কোনওমতেই যে এখানে এনআরসি বা সিএবি চালু করা যাবে না এদিন তা ফের স্পষ্ট করে দেন মমতা। মিছিলের শুরুতে ঠিক আগের দুদিনের মতোই শপথ বাক্য পাঠ করান তৃণমূল সুপ্রিমো। তৃণমূল সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, ফের বৃহস্পতিবার দুপুর ২টোয় রানি রাসমণি রোডে এবং শুক্রবার দুপুর তিনটেয় পার্ক সার্কাসে নয়া নাগরিক আইন বিরোধী সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।