রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে এবার অবতীর্ণ হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা জগদীপ ধনকরের চিঠিতে বাংলা নেই কেন? এই প্রশ্ন তুলে বিজেপি হিন্দিভাষীদের দল, পরোক্ষে সেই বিতর্ক উস্কে দিলেন অভিষেক।
সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের বিরোধিতা করে রাজ্যপাল ধনকরের একের পর এক ট্যুইট সাম্প্রতিক সময়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে রাজ্যপালের নবান্ন বিরোধিতাও নজর এড়ায়নি সরকারের। এই প্রেক্ষিতে রাজ্যে অশান্তির বাতাবরণ কাটাতে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতার আবেদন জানিয়ে সোমবার রাজভবনে চিঠি পাঠান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার জবাবও দিয়েছেন রাজ্যপাল ধনকর।
মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির প্রেক্ষিতে রাজ্যপালের জবাব নিয়েই এবার ট্যুইট করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার রাত সাড়ে ৯ টা নাগাদ ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ ট্যুইট করে প্রশ্ন তোলেন, বাংলার রাজ্যপালের চিঠিতে কেন থাকবে না বাংলার ব্যবহার? রাজ্যপালের জবাবি চিঠিতে দেখা যাচ্ছে সেখানে হিন্দী এবং ইংরেজিতে পদের নাম লেখা থাকলেও অনুপস্থিত বাংলা। যুব তৃণমূল সভাপতির ট্যুইটে সেই প্রশ্নই তোলা হয়। ট্যুইটের শেষ অংশে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় ঠিক কী লিখতে হবে তাও জানিয়ে দেন।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ট্যুইটের ১০ মিনিটের মধ্যে রাজ্যপাল ধনকর ফের ট্যুইট করেন। সেখানে তিনি অভিষেকের পরামর্শের প্রশংসা করে লেখেন, অত্যন্ত দ্রুত পরামর্শ বাস্তবায়নের নির্দেশ তিনি পত্রপাঠ দিয়েছেন। পরবর্তীতে অভিষেকের কাছে রাজভবনের তরফে যে চিঠি যাবে তাতে এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা হবে বলেও জানান ধনকর।
রাজ্যপালের এই ট্যুইটেরও উত্তর দিয়েছেন তৃণমূলের যুব সভাপতি। তিনি জানান, দ্রুত উত্তরের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, ভেবেই ভালো লাগছে তাঁর ট্যুইটের জেরেই বাংলার রাজ্যপাল লেটার হেডে বাংলা ব্যবহারের উদ্যোগ নিলেন। এই ট্যুইটটি আগাগোড়া ইংরেজিতে লেখা হলেও শেষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় লিখেছেন জয় হিন্দ এবং জয় বাংলা।
বিজেপি বাঙালি বিরোধী। মমতা-সহ তৃণমূল নেতারা বারবার এই অভিযোগ করেছেন। পাশাপাশি, তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যপাল যেভাবে পদে পদে প্রশাসনিক কাজে বাধা দিচ্ছেন, তাতে তাঁর রাজনৈতিক আনুগত্যের দিকটি প্রকাশ্যে চলে আসছে। যা রাজ্যপালের পদের সঙ্গে মানানসই নয় বলেই মনে করছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। এই পরিস্থিতিতে বাংলার রাজ্যপালের লেটার হেডে কেন বাংলা থাকবে না, সেই বুনিয়াদি প্রশ্ন তুলে গোটা বিতর্কে নয়া মাত্রা যোগ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।